পদ প্রকরণ- বাংলা ব্যাকরণ:
পদ: বাক্যের অন্তর্গত প্রত্যেকটি অর্থবোধক শব্দকে এক একটি পদ বলে।
পদের প্রকারভেদ: পদ প্রধানত দু প্রকার: সব্যয় ও অব্যয় পদ
সব্যয় পদ: (১) বিশেষ্য (২) বিশেষণ (৩) সর্বনাম (৪) ক্রিয়া
বিশেষণ পদ চার প্রকার:
১। ক্রিয়া বিশেষণঃ যে পদ ক্রিয়া সংঘটনের ভাব, কাল বা রূপ নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যথাঃ ধীরে ধীরে যায়। পরে এক বার এসো।
২। বিশেষণীয় বিশেষণঃ যে পদ নাম বিশেষণ অথবা ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যথাঃ সামান্য একটু দুধ দাও। এ ব্যাপারে সে অতিশয় দুঃখিত।
৩। অব্যয়ের বিশেষণঃ যে ভাব-বিশেষণ অব্যয় পদ অথবা অব্যয় পদের অর্থকে বিশেষিত করে তাকে অব্যয়ের বিশেষণ বলে। যথাঃ ঠিক্ তারে, শত ঠিক, নির্লজ্জ যে জন।
৪। বাক্যের বিশেষণঃ কখনো কখনো কোনো বিশেষণ পদ একটি সম্পূর্ণ বাক্যকে বিশেষিত করতে পারে, তখন তাকে বাক্যের বিশেষণ বলা হয়। যেমনঃ দুর্ভাগ্যক্রমে দেশ আবার নানা সমস্যাজালে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে।
সর্বনাম পদ:
বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম পদ বলে।
সর্বনামের শ্রেণীবিভাগঃ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সর্বনাম সমূহকে নিম্নলিখিত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
১। ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচকঃ আমি, তুমি, সে
২। আত্মাবাচকঃ স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি
৩। সামীপ্যবাচকঃ এ, এই এরা, ইহারা, ইনি
৪। দূরত্ববাচকঃ ঐ, ঐ সব, সব
৫। সাকল্যবাচকঃ সব, সকাল, সমুদয়, তাবৎ
৬। প্রশ্নবাচকঃ কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার
৭। অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপকঃ কোন, কেহ, কেউ, কিছু
৮। ব্যতিহারিকঃ আপন, আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর
৯। সংযোগজ্ঞাপকঃ যে, যিনি, যার, যাঁরা, যাহারা
১০। অন্যাদিবাচকঃ অন্য অপর পর ইত্যাদি সাগুলোতে
* ক্রিয়াঃ যে পদ দ্বারা কোন কার্য সম্পাদান করা বুঝায়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে।
ক্রিয়ার প্রকারভেদ:
১। সমাপিকা ক্রিয়া: যে‘ ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের পরিসমাপ্তি জ্ঞাপিত হয় তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন: আমি ভাত খাচ্ছি।
২। অসমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের পরিসমাপ্তি ঘটে না তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন: আমি ভাত খেয়ে………………..
সকর্মক ক্রিয়াঃ যে ক্রিয়ার কর্ম পদ আছে তাকে সকর্মক ক্রিয়া। যেমনঃ বাবা আমাকে একটি কলম কিনে দিয়েছেন।
অকর্মক ক্রিয়াঃ যে ক্রিয়ার কর্ম নেই, তাই অকর্মক ক্রিয়া। যেমনঃ মেয়েটি হাসে। কি ‘হাসে’ বা ‘কাকে হাসে’ প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর হয় না। কাজেই ‘হাসে’ ক্রিয়াটি সকর্মক ক্রিয়া।
দ্বিকর্মক ক্রিয়াঃ যে ক্রিয়ার দুটো কর্মপদ থাকে, তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমনঃ আমাকে দুই টাকর নোট দাও।
প্রযোজক ক্রিয়া: যে ক্রিয়া একজনের চালনায় অন্য কর্তৃক অনুষ্ঠিত হয়, তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে। যেমনঃ তুমি খোকাকে কাঁদিও না, মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।
যৌগিক ক্রিয়া:
একটি সমাপিকা ক্রিয়া ও একটি অসমাপিকা ক্রিয়া মিলে যৌগিক ক্রিয়া গঠিত হয়।
(ক) অভ্যন্ততা অর্থে: শিক্ষায় মন সংস্কারমুক্ত হয়ে থাকে।
(খ) তাগিদ দেওয়া অর্থে: ঘটনা শুনে রাখ।
(গ) নিরন্তরতা অর্থে: তিনি বলতে লাগলেন।
(ঘ) আকস্মিকতা অর্থে: সাইরেন বেজে উঠল, ছেলেরা হেসে ফেলল।
(ঙ) ক্রমশ অর্থে: চা জুড়িয়ে যাচ্ছে, কেমন যেন মনমরা হয়ে পড়েছি।
(চ) সমাপ্তি অর্থে: এখন শুয়ে পড়।
(ছ) ব্যাপ্তি অর্থে: কথাটা ছড়িয়ে পড়েছে।
(জ) পরীক্ষা অর্থে: লবণটা চেখে দেখ, কষ্টিপাথরে সোনাটা ঘষে নাও
(ঝ) সামর্থ অর্থে: এসব কথা আমার সহ্য হয়ে ওঠে না।
(ঞ) অবিরাম অর্থে: খোকা কাঁদতে লাগল।
অব্যয় পদ:
যে শব্দ/পদের কোনরূপ পরিবর্তন ঘটে না তাকে অব্যয় পদ বলে। বাংলা ভাষায় তিন প্রকার অব্যয় শব্দ রয়েছে।
১। বাংলা অব্যয় শব্দ: ও, হাঁ, না, আর, আবার ইত্যাদি।
২। তৎসম অব্যয় শব্দ: এবং, সুতরাং, যদি, যথা, সদা, সহসা, হঠাৎ, অর্থাৎ, দৈবাৎ, বরং, পুনশ্চ, বস্তুত, আপাতত ইত্যাদি।
৩। বিদেশী অব্যয় শব্দ: আলবত, বহুত, যুব, সাবাস, খাসা, মাইরি, মারহাবা, খ, শাবাশ ইত্যাদি।
অব্যয়ের প্রকার ভেদ:
অব্যয় প্রধানত চার প্রকার:
(ক) সমুচ্চরী (খ) অনুসর্গ বা পদান্বয়ী (গ) অনন্বয়ী (ঘ) অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক
(ক) সমুচ্চয়ী অব্যয়ঃ যে অব্যয় পদ একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য একটি বাক্যের অথবা বাক্যস্থিত একটি পদের সঙ্গে অন্য একটি পদের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়, তাকে সমুচ্চয়ী অব্যয় বা সমন্ধবাচক অব্যয় বলে। যেমন:
সংযোজক অব্যয়ঃ ও, তাই, আর অধিকন্তু, সুতরাং
বিয়োজক অব্যয়ঃ কিংবা, কিন্তু বা, অথবা, নতুবা, না হয়, নয়তো
সংকোচক অব্যয়ঃ অথচ, বরং কিন্তু
উদাহরণ: জান্নাতুন নাইমা রূপবতী ও বুদ্ধিমতি।
(খ) অনন্বয়ী অব্যয়: বাক্যের অন্য পদের সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ না রেখে স্বাধীন ভাবে নানাবিধ ভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: সংশয়ে সংকল্প সদা টলে পাছে লোকে কিছু বলে। মরি মরি! কী সুন্দর প্রবাতের রূপ? ছি ছি তুমি এত নীচ।
(গ) অনুসর্গ অব্যয়: বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের বিভক্তির ন্যায় বসে কারকবাচকতা প্রকাশ করে।
উদাহরণ: ওকে দিয়ে এ কাজ হবে না।
(ঘ) অনুকার অব্যয়: অব্যক্ত রব শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয়। উদাহরণ: বজ্রের ধ্বনিকড় কড়, স্রোতের ধ্বনিকল কল, শুষ্ক পাতার শব্দমর মর, নূপুরের আওয়াজ রুম ঝুম, কোকিলের রব কুহু কুহু ,বৃষ্টির তুমুল শব্দ -ঝম ঝম, বাতাসের গতি- শন শন, চুড়ির শব্দ -টুং টাং
বাংলা ব্যাকরণ – ধ্বনি পরিবর্তন
HSC বাংলা সাহিত্য গল্প,কবিতা,উপন্যাস
নং | গল্প + কবিতার নাম | সাহিত্যিকদের নাম | লিঙ্ক |
---|---|---|---|
০১ | আমার পথ | কাজী নজরুল ইসলাম | Click |
০২ | বিড়াল | বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | Click |
০৩ | চাষার দুক্ষু | বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত | Click |
০৪ | বায়ান্নর দিনগুলো | শেখ মুজিবুর রহমান | Click |
০৫ | অপরিচিতা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Click |
০৬ | মাসি-পিসি | মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | Click |
০৭ | জীবন ও বৃক্ষ | মোতাহের হোসেন চৌধুরী | Click |
০৮ | জাদুঘরে কেন যাব | আনিসুজ্জামান | Click |
০৯ | নেকলেস | গী দ্য মোপাসাঁ/ পূর্ণেন্দু দস্তিদার | Click |
১০ | রেইনকোট | আখতারুজ্জামান ইলিয়াস | Click |
১১ | আহ্বান | বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় | Click |
১২ | মহাজাগতিক কিউরেটর | মুহম্মদ জাফর ইকবাল | Click |
১৩ | সাম্যবাদী | কাজী নজরুল ইসলাম | Click |
১৪ | ঐকতান | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Click |
১৫ | বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ | মাইকেল মধূসুদন দত্ত | Click |
১৬ | নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় | সৈয়দ শামসুল হক | Click |
১৭ | তাহারেই পড়ে মনে | সুফিয়া কামাল | Click |
১৮ | ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ | শামসুর রাহমান | Click |
১৯ | রক্তে আমার অনাদি অস্থি | দিলওয়ার খান | Click |
২০ | সেই অস্ত্র | আহসান হাবিব | Click |
২১ | আঠারো বছর বয়স | সুকান্ত ভট্টাচার্য | Click |
২২ | লোক লোকান্তর | মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ | Click |
২৩ | এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে | জীবনানন্দ দাশ | Click |
২৪ | আমি কিংবদন্তির কথা বলছি | আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ | Click |
২৫ | লালসালু | সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ | Click |
২৬ | সিরাজউদ্দৌলা | সিকান্দার আবু জাফর | Click |
২৭ | বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন | বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | Click |
২৮ | বিদ্রােহী | কাজী নজরুল ইসলাম | Click |
২৯ | গৃহ | রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন | Click |
৩০ | মানব কল্যাণ- | আবুল ফজল | Click |
৩১ | বিলাসী | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | Click |
৩২ | সোনার তরী | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Click |