Thursday, March 28, 2024
Homeএইচএসসি বাংলা সাহিত্যরেইনকোট - আখতারুজ্জামান ইলিয়াস

রেইনকোট – আখতারুজ্জামান ইলিয়াস

রেইনকোট – আখতারুজ্জামান ইলিয়াস

 লেখক পরিচিতি :

  • নাম :  আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।
  • জন্মপরিচয়   জন্মতারিখ  :   ১২ জানুয়ারি, ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দ
  • জন্মস্থান   :   গোটিয়া, সাঘাটা, গাইবান্ধা।
  • পিতৃ ও মাতৃ পরিচয়     পিতার নাম   :   বি. এম ইলিয়াস।
  • মাতার নাম   :  মরিয়ম ইলিয়াস।
  • শিক্ষাজীবন   মাধ্যমিক   :   ম্যাট্রিক (১৯৫৮), বগুড়া জিলা স্কুল।
  • উচ্চমাধ্যমিক :   ইন্টারমিডিয়েট (১৯৬১), ঢাকা কলেজ।
  • উচ্চতর   :   বি এ সম্মান, বাংলা(১৯৬৩) ; এম এ (১৯৬৪), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
  • পেশা /কর্মজীবন   প্রভাষক  :   করটিয়া সাদত কলেজ, টাংগাইল, জগন্নাথ কলেজ, ঢাকা।
  • সহযোগী অধ্যাপক : বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ কলেজ।
  • উপপরিচালক :    প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
  • অধ্যাপক      :    বাংলা বিভাগ, ঢাকা কলেজ।
  • সাহিত্যসাধনা   গল্পগ্রন্থ   :     অন্য ঘরে অন্যস্বর, খোঁয়ারি, দুধভাতে উৎপাত, দোজখের ওম, জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল।
  • উপন্যাস   :     চিলে কোঠার সেপাই, খোয়াবনামা।
  • প্রবন্ধগ্রন্থ   :     সংস্কৃতির ভাঙা সেতু।
  • পুরস্কার/সম্মাননা  হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৭), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭), প্রফুল­ কুমার সুরবার স্মৃতি আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৬), সাদাত আলী আকন্দ পুরস্কার(১৯৯৬), কাজী মাহবুব উল্লাহ স্বর্ণপদক ইত্যাদি।
  • জীবনাবসান   মৃত্যু তারিখ   :   ৪ জানুয়ারি, ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ।

 লেখক সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • মানুষের পরম সুক্ষ মনস্তাত্ত্বিক প্রান্তসমূহ উম্মোচনে তাঁর রয়েছে গভীর দক্ষতা
  • কর্মজীবনে তিনি ছিলেন সরকারি কলেজের বাংলা বিষয়ের অধ্যাপক

 উৎস পরিচিতি

‘রেইনকোট’ গল্পটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। পরে এটি লেখকের সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ ‘জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল’ (১৯৯৭) গ্রন্থে সংকলিত হয়। এ গল্পের পাঠ গ্রহণ করা হয়েছে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচনাসমগ্র ১ থেকে।

 মূলবাণী/মর্মবাণী/উপজীব্য বিষয়: মুক্তিযুদ্ধ ও পাকবাহিনীর দখলদারিত্ব।

 শব্দার্থ ও টীকা

  • জেনারেল স্টেটমেন্ট -সাধারণ বিবৃত্তি।
  • স্পেসিফিক ক্লাসিফিকেশন – সুনির্দিষ্ট শ্রেণিকরণ।
  • ‘ক্যায়সে?’ –  ‘কীভাবে’
  • উও আপ হি কহ সকতা – সেটি আপনিই বলতে পারেন।
  • মিসক্রিয়ান্ট  – দুষ্কৃতিকারী।
  • সাবভার্সিভ অ্যাকটিভিটিজ – রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রম।
  • ট্রান্সপারেন্ট  – স্বচ্ছ।

 জটিল শব্দসমূহের অর্থ ও বানান অনুশীলন

  1. বৃহস্পতি   –    সপ্তাহের একটি বার।
  2. ঝমঝম      –    জোরে বৃষ্টি পতনের শব্দ।
  3. চমৎকার   –    খুব সুন্দর।
  4. তলব         –    ডেকে পাঠানো।
  5. প্রাদুর্ভাব     –    আবির্ভাব, প্রকাশ।
  6. খানসামা    –   যে চাকর খাওয়ার টেবিলে খাবার পরিবেশন করে।
  7. হুকুম         –     আদেশ, নির্দেশ।
  8. লেকচারার  –    প্রভাষক।
  9. পরামর্শ      –    উপদেশ, মন্ত্রণা।
  10. টার্গেট        –     লক্ষ্য, উদ্দেশ্য।
  11. হরদম        –     অনবরত, সর্বদা, অবিরত।

 রেইনকোট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ লাইন

  1. আল্লাহুম্মা আন্তা সুবহানকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ জোয়ালেমিন।
  2. ইলেকট্রিক ট্রান্সফর্মার তো কলেজের সামনের দেওয়াল ঘেঁষে।দেওয়ালের পর বাগান, টেনিস লন। তারপর কলেজ দালান।
  3. রাস্তায় ঘরঘর করতে থাকা বেবি ট্যাকসির গর্জন তুলে সে রওয়ানা হলো জিওগ্রাফির প্রফেসরের বাড়ির দিকে।
  4. এপ্রিলের শুরু থেকে সে বাংলা বলা ছেড়েছে। কোনকালে দাদা না পরদাদার ভায়রার মামু না কে যেন দিলি­Ðওয়ালা কোন সাহেবের খাস খানসামা ছিল, সেই সুবাদে দিনরাত এখন উর্দু বলে।
  5. পাকিস্তানের জন্যে প্রিন্সিপাল দিনরাত দোয়া-দরুদ পড়ছে।
  6. এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি প্রিন্সিপাল মিলিটারির বড় কর্তাদের কাছে সবিনয়ে নিবেদন করেছিল, পাকিস্তান যদি বাঁচাতে হয় তো সব স্কুলকলেজ থেকে শহিদ মিনার হটাও।
  7. তাড়াতাড়ি চলে এসো। বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে মিরপুর ব্রিজের দিক থেকে গুলির আওয়াজ আসছিল। কখন কী হয়।”
  8. মিলিটারি লাগার পর থেকে এই নিয়ে চারবার বাড়ি পাল্টানো হলো।
  9. কিসিনজার সাহেব বলেছে, এসব হলো পাকিস্তানের ইনটার্নাল  অ্যাফেয়ার।
  10. সপ্তাহে দুইদিন-তিনদিন মেয়ের বাড়িতে রেফ্রিজারেটর, টেপ রেকর্ডার, দামি দামি সোফাসেট, ফ্যান খাট-পালং সব চালান পাঠায়।
  11. আড়াই বছরের মেয়ের সদ্য-ঘুম-ভাঙা বুলি শুনে সে চমকে ওঠে।
  12. আব্বুকে ছোটোমামার মতো দেখাচ্ছে। আব্বু তা হলে মুক্তিবাহিনী। তাই না?”
  13. নামবার মুহুর্তে দু’টার মধ্যে সর্দার টাইপেরটা তার দিকে পেছন ফিরে তাকাল।
  14. আসাদ গেট বাসস্টপেজে ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিল বেশ কয়েকজন মানুষ।
  15. ক্রাকডাউনের রাত কেটে ভোর হলে মিলিটারির গুলিতে এই মসজিদের ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিল মুয়াজ্জিন সাহেব।
  16. ঠাণ্ডা হাওয়ার ধাক্কা রেইনকোটের তাকে এতটাই গরম হয়ে ওঠে। যে, মনে হয় ভিতরে বুঝি আগুন ধরে গেল।
  17. মসজিদের উল্টোদিকের বাড়িতে তিনতলায় থাকত তখন তারা।
  18. মোয়াজ্জিন সাহেব গমগমে গলায় যতটা পারে জোর দিয়ে বলে উঠল ‘আল­াহু আকবার’।
  19. উর্দুর প্রফেসর আকবর সাজিদের দোহাই পেড়ে প্রিন্সিপালের সুবিধা হয় না।
  20. কুলিরা ছদ্মবেশী মিসক্রিয়েন্ট। তারা কলেজের টিচারদের মধ্যে নুরল হুদার নামই বলেছে।]

 গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(জ্ঞানমূলক)

  1. রেইনকোট গল্পটি বিবৃত- মূলত লেখক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের জবানিতে (নূরুল হুদা চরিত্রের ভিতরে প্রবেশ করে।)।
  2. বৃষ্টি হচ্ছে – ভোররাত থেকে।
  3. এই বৃষ্টির মেয়াদ – ৩ দিন।
  4. লেখক প্রথমে ইসহাকের তুলনা করেছে – মিলিটারির কর্নেলের সাথে।
  5. লেখক ভাবেন স্বয়ং কর্ণেল ভোরবেলা কলেজে উপস্থিত হওয়ায় ইসহাক ডেমোটেড হয়েছে – লেফটেন্যান্ট কর্ণেলে।
  6. ইসহাককে ঠেলা মুশকিল – ক্যাপ্টেন র‌্যাঙ্ক এর দিকে।
  7. মিলিটারির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে সবাই তটস্থ থাকে – ইসহাসকে দেখে।
  8. ইসহাক বাংলা বলা ছেড়েছে – এপ্রিলের শুরু থেকে।
  9. ইসহাক এখন কথা বলে – উর্দু ভাষায়।
  10. “যেতেই হবে?”-উক্তিটি – নূরুল হুদার স্ত্রীর।
  11. প্রিন্সিপ্যালের ধমকের ভাগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে- নুরুল হুদার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে।
  12. প্রিন্সিপ্যাল সময় করে গালাগালি করে – কলিগদের।
  13. পাকিস্তানকে বাঁচানোর জন্য সব স্কুল থেকে শহিদ মিনার সরানোর প্রস্তাব করেছিল – প্রিন্সিপ্যাল।
  14. প্রিন্সিপ্যাল সব স্কুল কলেজ থেকে শহিদ মিনার সরানোর প্রস্তাব করেছিল-মিলিটারির বড় কর্তাদের কাছে। (এপ্রিলের মাঝামাঝি)।
  15. প্রিন্সিপ্যাল পাকিস্তানের শরীরের কাটার সাথে তুলনা করেছেন – স্কুল কলেজের শহিদ মিনারকে।
  16. বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে গুলির আওয়াজ আসছিল – মিরপুর ব্রিজের দিক থেকে (আসমা বলে)।
  17. “এখন বৌ এসব বাজে কথা বলে কেন?”- একথা নুরুল হুদা ভাবে -মিরপুর ব্রিজের দিক থেকে গুলির আওয়াজের কথার প্রেক্ষিতে।
  18. রেডিও টেলিভিশনে হরদম বলছে – সিচুয়েশন নর্মাল।
  19. দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর – প্রেসিডেন্ট (রাষ্ট্রপতি)।
  20. কিছুদিন বাদে বাদে ভাষণ শোনা যায় – প্রেসিডেন্টের।
  21. নুরুল হুদার শ্যালকের নাম – মিন্টু (আসমার ভাই)।
  22. আসমা নুরুল হুদাকে সাথে নিতে বলে-মিন্টুর রেইনকোট।
  23. নুরুল হুদাকে এক্সট্রা তটস্থ থাকতে হয়- মিন্টুর জন্য।
  24. মিন্টু মগবাজারের বাসা ছেড়েছে-জুন মাসের ২৩ তারিখ।
  25. নুরুল হুদার মগবাজারের ফ্ল্যাট বাসায় কামরা ছিল-২টি।
  26. নুরুল হুদা বাসা শিফট করেছে-জুলাইয়ের পহেলা তারিখ।
  27. পাশের ফ্ল্যাটের গোলগাল মুখের মহিলা আসমাকে মিন্টুর কথা জিজ্ঞেস করে -মিন্টু চলে যাবার ৩ দিন পরে (জুনের ২৬ তারিখ)।
  28. “এসব হলো পাকিস্তানের ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার-উক্তিটি- কিসিনজার সাহেবের।
  29. নুরুল হুদা  যে বাড়িতে থাকে সে বাড়ির নিচের ফ্ল্যাটে থাকে- ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপের মালিক।
  30. সর্দার গোছের রাজাকার-ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপের মালিকের শ্বশুর।
  31. সপ্তাহে দুই তিন দিন মেয়ের বাড়িতে রেফ্রিজারেটর, টেপ রেকর্ডার, দামি দামি সোফাসেট, ফ্যান, খাট পালং সব চালান পাঠায় – ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপের মালিকের শ্বশুর।
  32. মিন্টু কোথায় গেছে তা জানে-নুরুল হুদা ও তার বৌ আসমা।
  33. “দেখি তো ফিট করে কিনা’-আসমা বলেছে নুরুল হুদাকে- মিন্টুর রেইনকোট ফিট হওয়া প্রসঙ্গে।
  34. আসমা নুরুল হুদার উচ্চতার তুলনা করে – মিন্টুর সাথে।
  35. আসমা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করে – মিন্টুকে নিয়ে।
  36. “মিলিটারির কি আর বিবেচনাবোধ নাই”- নুরুল হুদা কথাটি ভাবে-বৃষ্টির দিনে রেইনকোট গায়ে দেয়া প্রসঙ্গে।
  37. “মিলিটারি যাদের ধরে, মিছেমিছে ধরে না’- উক্তিটি কলেজ প্রিন্সিপাল ড. আফাজ আহমদের।
  38. দেশের ভিতরে দমাদম মিলিটারি মারে – মিন্টু।
  39. কলেজে হাজিরা দিতে হয় – মাস্টারদের।
  40. কলেজের স্টাফরুমে ফিসফিস করে – কলিগরা।
  41. কলিগদের ফিসফিসে ছেলেদের গুলিতে মিলিটারির লাশ পড়ার কথা বলা হয়েছে – ৭ জনের।
  42. “টুপির তেজ কি পানিতেও লাগল নাকি?”-নুরুল হুদাএকথা ভাবে-টুপির বারান্দা বেয়ে পড়া কয়েক ফোঁটা পানি চেটে পরীক্ষা করে পানির স্বাদ পানসে না হওয়ায়।
  43. শীত শীত ভাব আসে – শেষ হেমন্তের বৃষ্টিতে।
  44. মিন্টু রেইনকোট রেখে গিয়ে ভালই করেছে – নুরুল হুদা একথাভাবে -রেইনকোটের ভিতর ওম অনুভব করায়।
  45. রংপুর- দিনাজপুরের হাফের বেশি জায়গা স্বাধীন- এ খবর দিয়েছে- বিবিসি।
  46. মিরপুরের বিল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা এসেছিল – ২ নৌকা বোঝাই করে।
  47. নৌকা বোঝাই মুক্তিযোদ্ধারা খতম করে – ৫ জন খানসেনাকে।
  48. স্টেট বাসের রঙ – লাল।
  49. বাসের সিট খালি – অর্ধেকের বেশি।
  50. নুরুল হুদা ভেবেছিল, তাকে বাসের সবাই টিটকিরি করবে- রেইনকোটের পানিতে ভিজে যাওয়ার জন্য।
  51. নুরুল হুদাকে দেখে বাস থেকে নেমে পড়ে – ২ জন যাত্রী।
  52. নুরুল হুদা সাধারণত নিয়মিত পড়ে – জুমার নামাজ।
  53. নুরুল হুদার আযান শুনতে ইচ্ছে করেছিল খুব-ক্রাক- ডাউনের রাতে।
  54. মুয়াজ্জিন আল্লাহর মহত্ত¡ ঘোষণা করতে পেরেছিল মাত্র- ১ বার (অর্থাৎ মাত্র একবার আল্লাহু আকবর বলতে পেরেছিল)।
  55. “সেদিন সকালে বৃষ্টি ছিল না”- এখানে বলা হয়েছে – মুয়াজ্জিন যেদিন মারা যায় সেদিনের কথা।
  56. মিলিটারি এখন যাবতীয় গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করে যাদের পছন্দ করে তাদের ঠেলে দেয় – একটা লরির দিকে।
  57. বাসের ভিতর কোন আওয়াজ নাই -যখন লম্বা ও খুব ফর্সা এক মিলিটারি তাদের বাসে ওঠে।
  58. নুরুল হুদা বাস থেকে নেমে যায়-নিউ মার্কেটের সামনে।
  59. নুরুল হুদা বাস থেকে নামার সময় সহযাত্রীদের দিকে তাকিয়ে- স্মিত হাসে।
  60. প্রিন্সিপালের চেয়ারে বসে আছে – জাঁদরেল টাইপের মিলিটারি পান্ডা।
  61. আলমারি কেনা হয়েছিল মোট – ১০টি।
  62. ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের জন্য আলমারি কেনা হয়েছিল – ১টি।
  63. আলমারিগুলো নিয়ে আসা হয়েছিল – ঠেলাগাড়িতে করে।
  64. মিসক্রিয়েন্টরা কলেজে ঢুকেছিল কুলির বেশে-মিলিটারি একথা বলে- শান্ত গলায়।
  65. মিসক্রিন্টেরা কলেজে ঢুকেছিল – কুলির বেশে।
  66. নুরুল হুদার চিৎকারে মিলিটারি- বিরক্ত হয় না ; উৎসাহ পায়।
  67. মিসক্রিয়েন্টরা কলেজের টিচারদের মধ্যে নাম বলেছে – নুরুল হুদার।
  68. কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের আলমারি সাজিয়ে রাখার সময় নুরুল হুদার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ছিল – একজন কুলি।
  69. ‘বর্ষাকালেই তো জুৎ”- উক্তিটি- কুলির।
  70. ‘বর্ষাকালেই তো জুৎ”- কথাটা কুলি বলেছিল – ২ বার।
  71. “২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রচণ্ড শীতের কবলে পড়ে হিটলার বাহিনী রুশ বাহিনীর হাতে পর্যুদস্ত হয়েছিল”- একথা বোঝাতে ‘রেইনকোট’ গল্পে বলা হয়েছে – রাশিয়ায় ছিল জেনারেল উইনটার।
  72. রাশিয়ার জেনারেল উইনটারের সাথে তুলনা করা হয়েছে – বাংলার জেনারেল মনসুনের।
  73. প্রথম ঘুষিতে নুরুল হুদা – কাত হয়ে যায়।
  74. দ্বিতীয় ঘুষিতে নুরুল হুদা – মেঝেতে পড়ে যায়।
  75. নুরুল হুদাকে সসম্মানে ছেড়ে দেয়া হবে- মিসক্রিয়েন্টদের আস্তানার ঠিকানা বলে দিলে।
  76. আংটায় ঝুলিয়ে মিলিটারি নুরুল হুদাকে আঘাত করে – চাবুক দ্বারা।
  77. চাবুকের মারকে নুরুল হুদার মনে হয়- রেইনকোটের উপর বৃষ্টি পড়ছে।
  78. চাবুকের মারকে নুরুল হুদা তুলনা করেছেন – বৃষ্টির সাথে।
  79. নিজের শরীরের চামড়ার তুলনা করেছে – রেইনকোটের সাথে।
  80. চাবুকের মার খাওয়ার সময় নুরুল হুদা অবিরাম বলে চলে- মিসক্রিয়েন্টদের ঠিকানা তার জানা আছে।
  81. নুরুল হুদা ‘রাজাকার’ বলেছিল তাদের – যারা তাকে দেখে ‘আরে রাখো রাখো’ বলে বাস থেকে নেমে গিয়েছিল।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর :

১। রেইনকোট পরে ভীতু নুরুল হুদা সাহসী হয়ে ওঠেন কেন?

উত্তর : রেইনকোটটি একজন মুক্তিযোদ্ধার ব্যবহারের সামগ্রী ছিল বলে সেটি পরে ভীরু নরুল হুদা সাহসী হয়ে ওঠেন। নুরুল হুদা বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা শ্যালক মিন্টুর রেইনকোটটি পরেন। মিন্টুর মুক্তিকামী চেতনার পরশ যেন রেইনকোটটির মধ্য দিয়ে তাঁর মাঝেও সঞ্চারিত হয়। এর ফলেই ভীতু নুরুল হুদা হয়ে ওঠেন প্রবল আত্মবিশ্বাসী। প্রকৃতপক্ষে রেইনকোটটি গল্পে প্রতীকী ব্যঞ্জনা সৃষ্টির জন্যেই ব্যবহৃত হয়েছে।

২। ‘রেইনকোট’ গল্পে ‘মিসক্রিয়ান্ট’ শব্দটি কেন ব্যবহার করা হয়েছে?

উত্তর : ‘রেইনকোট’ গল্পে মুক্তিযোদ্ধাদের বোঝাতে ‘মিসক্রিয়ান্ট’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। ‘মিসক্রিয়ান্ট’ শব্দের আভিধানিক অর্থ দুস্কৃতকারী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার এবং পাকবাহিনী এই শব্দটি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ব্যবহার করত। আর এ বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে ‘রেইনকোট’ পরে এ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।

৩। ইসহাক মিয়ার দাপট বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করায় ইসহাক মিয়ার দাপট বেড়ে গিয়েছিল। ইসহাক মিয়া ছিল পাকিস্তানিদের দোসর। সে অবাধে চলাফেরা করত এবং সব সময় উর্দুতে কথা বলত। আর পাকিস্তানিদের দোসর হওয়ায় সবাই তাকে ভয় পেত। এভাবেই তার দাপট বেড়ে যায়।

৪। নুরুল হুদাকে এক্সট্রা তটস্থ থাকতে হয় কেন?

উত্তর : নুরুল হুদার শ্যালক মিন্টু মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়েছে বলে নুরুল হুদাকে এক্সট্রা তটস্থ থাকতে হয়। নুরুল হুদ অত্যন্ত ভীরু প্রকৃতির মানুষ। তিনি দেশকে খুব ভালোবাসেন কিন্তু ভয়ে প্রকাশ করতে পারেন না। কিন্তু তাঁর শ্যালক মিন্টু একজন মুক্তিযোদ্ধা একথা হানাদার বাহিনী জানতে পারলে তাঁকে খুব বিপদে পড়তে হবে, এ ভয়ে তিনি সবসময় তটস্থ থাকেন।

৫। মিন্টু কেন বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য মিন্টু বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদেশে পাকিস্তানি হানাদাররা ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাÐ চালায়। বিবেকবোধসম্পন্ন কোন মানুষ তখন ঘরে বসে থাকতে পারেনি। দেশের সম্মান রক্ষার্থে তারা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিল। ‘রেইনকোট’ গল্পের মিন্টুও ঠিক এ কারণেই বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই মিন্টু বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল।

৬। প্রিন্সিপাল কেন দিনরাত দোয়া – দরুদ পড়ছেন?

উত্তর : পাকিস্তানের কল্যাণ কামনায় প্রিন্সিপাল দিনরাত দোয়া-দরুদ পড়ছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রিন্সিপাল পাকিস্তানিদের পক্ষে অবস্থান নেন। তাদের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তাই তিনি সর্বদা তাদের মঙ্গল কামনা করতেন। আর তাদের জয়ের জন্য দিনরাত দোয়া-দরুদ পড়তেন।

৭। নুরুল হুদা কেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাটের নিচে শুয়ে ছিলেন?

উত্তর : মিলিটারিদের ভয়ে নুরুল হুদা পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাটের নিচে শুয়ে ছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশবাসীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছিল। প্রাণ বাঁচাতে নিরুপায় মানুষগুলো নানা কৌশল অবলম্বন করেছিল। আর তাই নুুরুল হুদা রাতভর ট্যাঙ্কের হুংকার, মেশিনগান আর স্টেনগানের প্রচÐ শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাটের নিচে শুয়েছিলেন।

৮। নুরুল হুদাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কেন তলব করেছে?

উত্তর : মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী সন্দেহে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নুরুল হুদাকে তলব করেছে। মুক্তিযুদ্ধ তখন শেষের দিকে তখন মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকায় গেরিলা আক্রমণ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গেরিলারা ঢাকা কলেজের সামনে গেরিলা আক্রমণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানি সেনারা কলেজের শিক্ষকদের তলব করে। নুরুল হুদাকেও তারা এ কারণে তলব করে। মূলত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধান লাভের জন্য নুরুল হুদাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তলব করেছে।

 উল্লেখ আছে

  • বার  – শনি, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র।
  • যানবাহন  – বেবি ট্যাক্সি, নৌকা, রিক্সা, ঠেলাগাড়ি, লরি, বাস, জিপ।
  • মাস   –  এপ্রিল, জুন, জুলাই
  • রং  –  লাল, কালো, বেগুনি
  • ভাষা –  বাংলা, উর্দু, ইংরেজী।
  • খেলার নাম -ফুটবল, ক্রিকেট, লন টেনিস।
  • গৃহসামগ্রী  – টেলিভিশন, টেপ রেকর্ডার, রেফ্রিজারেটর, লোহার আলমারি, ফ্যান, খাট-পালং, সোফাসেট, ড্রেসিং টেবিল।
  • ডিপার্টমেন্ট – বোটানি, হিস্ট্রি, জিওগ্রাফি, ইংরেজি, কেমিস্ট্রি, উর্দু।
  • খাদ্যদ্রব্য  – পাউরুটি, দুধ, চা, পান-বিড়ি-সিগারেট।
  • দেশ  –   রাশিয়া, পাকিস্তান, হিন্দুস্থান।
  • স্থান –  ঢাকা, মিরপুর, মগবাজার, দিলি­, পাঞ্জাব, বেলুচ, রংপুর, দিনাজপুর, নিউমার্কেট, ঢাকা কলেজ গেট, আসাদ গেট, জিমন্যাশিয়াম, মিলিটারি ক্যাম্প, শহীদ মিনার।

 চরিত্র লিপি

ইসহাক মিয়া (পিয়ন), আব্দুস সাত্তার মৃধা (জিওগ্রাফির প্রফেসর), কর্নেল সাহাব, প্রিন্সিপাল (ড. আফাজ আহমেদ) স্ত্রী (আসমা), মিন্টু, পাশের ফ্ল্যাটের কিসিঞ্জার, ওয়ার্কশপের মালিক ও রাজাকার শ্বশুর, ছেলে, মেয়ে, আকবর সাজিদ (উর্দুর প্রফেসর), দোকানদার, যাত্রীরা, মুয়াজ্জিন, মিলিটারি, নূরলহুদা, কুলি।

 চরিত্র বিশ্লেষণ

নূরুল হুদা:

  1. রেইনকোট গল্পের গল্পকথক
  2. মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যকারী
  3. বেঁটেখাটো শরীর
  4. কেমিস্ট্রি লেকচারার মিন্টুর দুলাভাই
  5. তার মেয়ের বয়স আড়াই বছর
  6. ছেলের বয়স পাঁচ বছর
  7. নিজেকে দাবী করেন প্রিন্সিপালের সাব অর্ডিনেট হিসেবে।

 আসমা:

  1. নুরুল হুদার বউ
  2. মিন্টুর বোন

 মিন্টু

  1. মুক্তিযোদ্ধা
  2. রেইনকোটের প্রকৃত মালিক
  3. আসমার ভাই এবং নুরুল হুদার শালা

 প্রিন্সিপাল:

  1. ডক্টর আফাজ আহমেদ এমএসসি, পিএইচডি, ইপিএসইএস।
  2. পাকিস্তানি মিলিটারি সহায়তাকারী
  3. খ্যাস খ্যাস গলা
  4. হিন্দু ও মিসক্রিয়েন্টদের আশু ও অবশ্যম্ভাবী পতনের ভবিষ্যদ্ববাণী করে।
  5. উর্দুর প্রফেসর সাজিদকে আজকাল তোয়াজ করেন।

  প্রিন্সিপালের পিওন

  1. আসল নাম ইসহাক মিয়া
  2. ভাঙ্গাচোরা গাল, খোঁচা দাড়ি
  3. এপ্রিলের শুরু থেকে বাংলা বলা চেড়েছে।
  4. দিন রাত এখন উর্দু বলে
  5. দিলি­ওয়ালা কোন সাহেবের খাস খানাসামা ছিল।
  6. তার চিন চিনে গলা গম্ভীর স্বরে হাঁকে “স্যার নে সালাম দিয়া”
  7. লেখকের মতে বর্তমানে ইসহাককে মিলিটারির কর্নেল বলে চালিয়ে দেয়া যায়।

 আকবর সাজিদ:

  1. উর্দুর প্রফেসর
  2. প্রিন্সিপাল আজকাল তাকে তোয়াজ করে।

 আব্দুস সাত্তার মৃধা

  1. জিওগ্রাফির  প্রফেসর
  2. নুরুল হুদার সহকর্মী
  3.  মিলিটারির পান্ডা নুরুল হুদার সাথে তাকেও ধরে নিয়ে যায় জাদরেল টাইপের মিলিটারি পান্ডা:
  4. কর্নেল কিংবা মেজর জেনারেল অথবা মেজর বা ব্রিগেডিয়ার
  5.  প্রিন্সিপালের কামরায় সিংহমার্কা চেয়ারে বসেছিল
  6. তাকে দেখে প্রিন্সিপালের কালো মুখ বেগুনী হয়

 রাজাকার

  1. পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ এই স্লোগান দেয়
  2. মহল্লা থেকে সুন্দরী মেয়েদের ধরে নিয়ে মিলিটারি ক্যাম্পে পৌঁছে দেয়।

 সারমর্ম

মুক্তিযুদ্ধের তখন শেষ পর্যায়। ঢাকায় তখন মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমন শুরু হয়েছে। তারই একটি ঘটনা এ গল্পের বিষয়; যেখানে ঢাকা কলেজের সামনে গেরিলা আক্রমণের ফলে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার   পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কলেজের শিক্ষকদের তলব করে এবং তাদের মধ্য থেকে নুরুল হুদা ও আবদুস সাত্তার মৃধাকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করে। নুরুল হুদার জবানিতে গল্পের অধিকাংশ ঘটনা বিবৃত হয়েছে। বিবৃত হয়েছে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের মধ্যে ঢাকা শহরের আতঙ্কগ্রস্ত জীবনের চিত্র। গেরিলা আক্রমনের ঘটনা ঘটে যে রাতে, তার পরদিন সকালে ছিল বৃষ্টি। তলব পেয়ে সেই বৃষ্টির মধ্যে নুরুল হুদাকে কলেজে যেতে যে রেইনকোটটি পরতে হয় সেটি ছিল তার শ্যালক মুক্তিযোদ্ধা মন্টুর। গল্পে এই রেইনকোটের প্রতীকী তাৎপর্য অসাধারণ। মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেইনকোট গায়ে দিয়ে সাধারণ ভীতু প্রকৃতির নুরুল হুদার মধ্যে সঞ্চারিত হয় যে উষ্ণতা, সাহস ও দেশপ্রেম তারই ব্যঞ্জনময় প্রকাশ ঘটেছে এ গল্পে।

 এই গল্পের গুরুত্বপূর্ণ উক্তিসমূহ

 নুরুল হুদা

  1. “ইসহাক মিয়া, বৈঠিয়ে। চা টা খাইয়ে। আমার পাঁচ সাত মিনিট লাগে গা।”
  2. “রাখেন নামাবো”

 আসমা:

  1. “যেতেই হবে? অসময়ের বৃষ্টিতে ভিজে তোমার হাঁপানির টানটা আবার-”
  2. “তাড়াতাড়ি চলে এসো। বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে মিরপুর ব্রিজের দিক থেকে গুলির আওয়াজ আসছিল। কখন কী হয়?”
  3. “এই বৃষ্টিতে শুধু ছাতায় কুলাবে না গো। তুমি বরং মিন্টুর রেইনকোটটি নিয়ে যাও।”
  4. “দেখি তো ফিট করে কিনা। মিন্টু তো আমার অনেক লম্বা তোমার গাঁয়ে হবে তো?
  5. “ভালোই হলো। তোমার গোড়ালি পর্যন্ত ঢাকা পড়েছে।”

 প্রিন্সিপাল:

  1. “শোনেন মিলিটারি যাদের ধরে, মিছেমিছে ধরে না। সাবভার্সিভ অ্যাকটিভিটিজের সঙ্গে তারা সামহাই অর আদার ইনভলভড।”
  2. “এগুলো পাকিস্তানের শরীরের কাঁটা। পাকিস্তানের পাকসাফ শরীরটাকে নীরোগ করতে হলে এসব কাঁটা ওপরাতে হবে।”

 প্রিন্সিপালের পিওন:

  1. “তলব কিয়া! আভি যানে হোগা।”
  2. “মিসকিরিয়ান লোগ ইলেকটিরি টেরানসফার্মার তোড় দিয়া।”
  3. “আব্দুস সাত্তার মিরদাতা ঘর যানে হোগা। আপ আভি আইয়ে। এক কর্ণেল সাহাব পঁওছ গিয়া। সব পরফসরকো এত্তেলা দিয়া। ফওরান আইয়ে।”

 জাঁদরেল টাইপের মিলিটারি পান্ডা:

  1. “শাট আপ”
  2. প্রিন্সিপালকে কড়া গলায় বলে, “সেনাবাহিনীকে নিয়ে মজা করা, শায়েরি করা খুব বড় অপরাধ।”

 প্রেসিডেন্ট:

  1. দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর।
  2. “আওয়ার আলটিমেট এইম রিমেইন দ্য সেম, দ্যাট ইজ টু হ্যান্ডওভার পাওয়ার টু দি ইলেকটেড রিপ্রেজেনটেটিভস অব দ্য পিপল।
  3. নিচের তলার ভদ্রলোক:
  4.  “আমার ভাইকে আর ঢাকায় রাখলাম না। যে গোলমাল, বাড়ি পাঠিয়ে দিলাম।”

 কিসিঞ্জার সাহেব:

  1. “এসব হলো পাকিস্তানের ইনটার্নাল অ্যাফেয়ার।”
  2. “মানুষ মেরে সাফ করে দেয়, বাড়িঘর, গ্রাম, বাজারহাট জালিয়ে দিচ্ছে-কারো কোনো মাথাব্যাথা নেই।”

 কথকের মেয়ে:

  1. সদ্য ঘুম ভাঙ্গা গলায় বলছে, “আব্বু ছোট মামা হয়েছে। আব্বু ছোট মামা হয়েছে।”

 কথকের ছেলে:

  1. গম্ভীর চোখে নুরুল হুদাকে পর্যবেক্ষণ করে বলে, “আব্বুকে ছোট মামার মতো দেখাচ্ছে। আব্বু তাহলে মুক্তিবাহিনী। তাই না?”

 দোকানাদার ছেলে:

  1. “কাল শোনেন নাই? মিরপুরের বিল দিয়া দুই নৌকা বোঝাই কইরা আইছিল।”
  2. “একটা জিপ উড়াইয়া দিছে, কমপক্ষে পাঁচটা খানসেনা খতম।”
  3. “বিবিসি কইছে রংপুর-দিনাজপুরের হাফের জায়গা স্বাধীন।

 প্রথম ও শেষ লাইন

  1. প্রথম লাইন: ভোররাত থেকে বৃষ্টি।
  2. শেষ লাইন: নূরল হুদার ঝুলন্ত শরীর এতটাই কাঁপে যে চাবুকের বাড়ির দিকে তার আর মনোযোগ দেওয়া হয়ে ওঠে না।

 উদ্দীপকের বিষয়

  1. গেরিলা আক্রমণ।
  2. মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগ ও শত্রুর নির্মমতা।
  3. গেরিলা আক্রমণের প্রচন্ডতা।
  4. মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ।
  5. যুদ্ধের ভয়াবহতায় জনমনে আতঙ্ক।
  6. সুপ্ত চেতনার জাগরণ।
  7. এ দেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের ঘৃণ্য কর্মকাÐ।
  8. যুদ্ধের ভয়াবহতায় জীবনব্যবস্থার অস্বাভাবিকতা।
  9. স্বাধীন বাংলার লাল সবুজের পতাকা।
  10. একজন মুক্তিযোদ্ধার ভাবনা ও পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ।
  11. আচরণই মানুষের প্রকৃত পরিচয় বহন করে।

 সারকথা :স্বাধীনতার জন্য বাঙালি আত্মত্যাগের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাঙালির এই আত্মত্যাগ উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্পের মূল প্রতিপাদ্য।

নং বিষয় লেখক
আমার পথ কাজী নজরুল ইসলাম
বিড়াল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
চাষার দুক্ষু বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত
সাম্যবাদী কাজী নজরুল ইসলাম
ঐকতান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ মাইকেল মধূসুদন দত্ত
বায়ান্নর দিনগুলো শেখ মুজিবুর রহমান
অপরিচিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মাসি-পিসি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১০ জীবন ও বৃক্ষ মোতাহের হোসেন চৌধুরী
১১ আমি কিংবদন্তির কথা বলছি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
১২ নেকলেস গী দ্য মোপাসাঁ/ পূর্ণেন্দু দস্তিদার

 

 

See More

Like Our Facebook Page.

Spread the love
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments