সিরাজউদ্দৌলা – সিকান্দার আবু জাফর
লেখক পরিচিতি :
১৯১৮ সালে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
তাঁর সম্পাদিত পত্রিকার নাম মাসিক সমকাল।
তৎকালীন খুলনা বর্তমান সাতক্ষীরার তালা বিডি ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষাজীবন শুরু করেন।
১৯৭৫ সালের ৫ই আগস্ট ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
লেখকের অন্যান্য সাহিত্যকর্ম :
মহাকবি আলাওয়াল, মাকড়সা, শকুন্ত উপখ্যান, সিরাজউদ্দৌলা তার বিখ্যাত নাটক।
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তারিখ, সময় ও স্থান :
- নাটকের অঙ্ক ও দৃশ্য তারিখ স্থান
- ১ম অঙ্ক ও ১ম দৃশ্য ১৭৫৬ সালে, ১৯ এ জুন ফোর্ট উইলয়াম দুর্গ।
- ১ম অঙ্ক ৩য় দৃশ্য ১৭৫৬, ১০ অক্টোবর ঘসেটি বেগমের বাড়ি।
- দ্বিতীয় অঙ্ক ১ম দৃশ্য ১৭৫৭, ১০ মার্চ নবাবের দরবার।
- ২য় অঙ্ক ২য় দৃশ্য ১৭৫৭, ১৯ মে মিরজাফরের আবাস।
- ২য় অঙ্ক ৩য় দৃশ্য ১৭৫৯, ৯ জুন মিরনের আবাস।
- তৃতীয় অঙ্ক প্রথম দৃশ্য ১৭৫৭, ১০ জুন থেকে ২১ জুন যেকোন একদিন লুৎফুন্নিসার কক্ষ।
- ৩য় অঙ্ক ২য় দৃশ্য ১৭৫৭, ২২ জুন পলাশীতে সিরাজের শিবির।
- ৩য় অঙ্ক ৩য় দৃশ্য ১৭৫৭, ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধক্ষেত্র।
- ৩য় অঙ্ক ৪র্থ দৃশ্য ১৭৫৭, ২৫ জুন মুর্শিদাবাদ নবাবের দরবার।
- চতুর্থ অঙ্ক প্রথম দৃশ্য ১৭৫৭, ২৯ জুন মিরজাফরের দরবার।
- ৪র্থ অঙ্ক ২য় দৃশ্য ১৭৫৯, ২রা জুলাই জাফরগঞ্জের কয়েদখানা।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র সম্পর্কিত তথ্যাবলি :
আলিবর্দি খাঁ
১। বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার নবাব।
২। প্রকৃত নাম- মির্জা মুহাম্মদ আলি।
৩। সিরাজউদ্দৌলার নানা।
সিরাজউদ্দৌলা/সিরাজ
১। সিরাজউদ্দৌলা নাটকের কেন্দ্রীয় ও নায়ক চরিত্র।
২। পিতা জয়নুদ্দিন ও মাতা আমিনা বেগমের জ্যেষ্ঠ পুত্র।
৩। জš§গ্রহণ করেন ১৭৩৩ সালে।
৪। সিংহাসনে আরোহণ করেন- ১৭৫৬ সালে (২৩ বছর বয়সে)।
৫। দেশ রক্ষার স্বার্থে মিরজাফর, জগৎশেঠ, রাজবল্লভ ও উমিচাঁদকে পবিত্র কোর’আন এবং তুলসী গঙ্গাজল ছুঁইয়ে শপথ করান।
৬। কলকাতা অভিযান করে ইংরেজদের দুর্গ ধ্বংস করেন।
৭। কলকাতার নাম পরিবর্তন করে রাখেন আলিনগর।
আমিনা বেগম
১। নবাব আলিবর্দি খাঁর কনিষ্ঠ কন্যা।
২। সিরাজউদ্দৌলার মাতা।
৩। তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিরাজ, কনিষ্ঠ পুত্র মির্জা মাহদি।
ঘসেটি বেগম
১। নবাব আলিবর্দি খাঁর প্রথম কন্যা।
২। সিরাজউদ্দৌলার খালা এবং শওকতজঙ্গের পালক মাতা।
৩। সিরাজকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তবে সিরাজের নজরবন্দী ছিলেন।
৪। আমির অমাত্য সেনাপতিদের সমর্থন আদায়ে টাকা খরচ করেন এবং রাজা রাজবল্লভের সহায়তা নেন।
৫। তিনি ছিলেন উদ্ধৃত্ত, ঈর্ষাপরায়ণ, চক্রান্তকারী।
৬। তার উক্তি, “তুমি কম সাপিনী নও।” (আমিনা বেগমকে এ কথা বলেন)
মিরজাফর
১। প্রকৃত নাম মির জাফর আলি খান।
২। তিনি ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রধান সেনাপতি।
৩। পারস্য থেকে হিন্দুস্থান এসেছিলেন।
৪। একদিনের জন্য হলেও মসনদে বসার স্বপ্ন দেখেছেন।
৫। তিনি ছিলেন বিশ্বাসঘাতক।
মিরন
১। মিরজাফরের ছেলে।
২। তার আদেশে সিরাজউদ্দৌলা এবং তার ভাই মির্জা মাহদিকে হত্যা করা হয়।
রায়দুর্লভ
১। বিহারের ডেপুটি গভর্নর জানকীরামের ছেলে রায়দুর্লভ।
২। তিনি ছিলেন উড়িষ্যার পেশকার। পরে দেওয়ানিপ্রাপ্ত হন।
৩। সিরাজের সাথে বিরোধ হওয়ায় তাকে পদোন্নতি দেয়া হয় নি।
৪। অর্থ আÍসাতের অভিযোগে মিরন তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
রাজবল্লভ
১। রাজা রাজবল্লভ সিরাজবিরোধী চক্রান্তের অন্যতম একজন।
২। ঢাকা বিক্রমপুরের লোক রাজবল্লভ ঢাকায় জাহাজি ফৌজ বিভাগের কেরানি ও পরে গভর্নরের পেশকার ছিলেন।
৩। ঘসেটি বেগমের স্বামী নওয়াজিশ মোহাম্মদ যখন ঢাকার গভর্নর তখন রাজবল্লভ রাজা উপাধি পান।
৪। হোসেন কুলি খাঁর মৃত্যুর পর তিনি ঢাকার দেওয়ান হন এবং ঢাকার শাসনকার্য পরিচালনা করেন।
জগৎশেঠ
১। নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে অন্যতম বিশ্বাসঘাতক।
২। জগৎশেঠ “মহতাবচাঁদের” একটি উপাধি।
৩। ১৭৪৪ সালে মহতারচাঁদ উপাধি পান ‘জগৎশেঠ’।
৪। তিনি ছিলেন মানিকচাঁদের ভ্রাতুপুত্র।
উমিচাঁদ
১। এই নাটকের উমিচাঁদ একটি দ্বৈত আচরণকারী খল চরিত্র। নিজেকে খাদেম ও দৌলতের প–জারি বলে পরিচয় দেন।
২। জন্মগতভাবে ছিলেন লাহোরের অধিবাসী শিখ সম্প্রদায়ের লোক।
৩। তিনি নবাবের কথা ইংরেজদের কাছে বলতেন আর ইংরেজদের কথা বলতেন নবাবের কাছে।
৪। রায়দুর্লভ তাকে বলেছেন, ‘জাহেল মূর্খ’ ড্রেক বলেছেন, ‘এ যুগের বিশ্বাসঘাতক’ মিরজাফর বলেছেন, ‘কালকেউটে’।
মোহাম্মদী বেগ
১। নবাব সিরাজউদ্দৌলার হত্যাকারী।
২। দশ হাজার টাকার লোভে মিরনের প্ররোচনায় সে নবাবকে খুন করে।
৩। নবাব তার কাছে ২ রাকাত নামায পড়ার সময় চাইলেন কিন্তু সে নবাবকে লাঠির আঘাতে ফেলে দিয়ে ছুরির আঘাতে হত্যা করল।
৪। নবাবের পিতা তাকে নিজ সন্তানের মতো লালন করেন, নবাবের মাতা হৈচৈ করে তার শাদি দেন।
রাইসুল জুহালা
১। দেশপ্রেমিক গুপ্তচর।
২। রাজারাম সিংহের ছোট ভাই নারায়ণ সিংহ।
৩। ক্লাইভের নির্দেশে গুলিবিদ্ধ হন।
৪। কৌতুক ও দেশপ্রেমিক চরিত্র।
ক্লাইভ
১। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ভারতবর্ষে আসেন।
২। নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের একজন।
৩। মিরজাফরকে বাংলার সিংহাসনে বাসালেও প্রকৃত শাসনকর্তা ছিলেন তিনি।
৪। ১৭৭৪ সালে আÍহত্যা করে মারা যান।
ওয়াটস
১। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাশিমবাজার কুঠি পরিচালক।
২। তিনি ছিলেন নবাবের দরবারের ইংরেজ প্রতিনিধি।
৩। পলাশীর যুদ্ধের পর কোম্পানি তাকে বরখাস্ত করে।
হলওয়েল
১। উপাধি সার্জন।
২। প্রকৃত নাম – জন জেফানিয়া
৩। কোম্পানির ঘষখোর ডাক্তার হলওয়েল।
৪। নবাবের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী।
উক্তি
“একটু নুন জোগাড় হলেই কাঁচা খাব বলে মুলোটা হাতে নিয়ে ঘুরছিলাম।”
লুৎফুন্নেসা
১। নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রী। তাদের বিবাহ হয়- ১৭৪৬ সালে।
২। মির্জা হরিচ খানের কন্যা।
৩। মিরন তাকে বিয়ে করতে চাইলে, জবাবে তিনি বলেন, “আমি চিরকাল হাতির পিঠে চড়ে বেরিয়েছি, সেই আমি কী করে এক গাধার পিঠে চড়ে বেড়াব।”
৪। সিরাজকে বন্দী করে আনা হয় মুর্শিদাবাদে, আর লুৎফুন্নেসা কে আনা হয় ঢাকায়।
৫। ২৩ শে জুন স্বামীর সাথে অজানায় বের হয়ে ছিলেন।
মোহনলাল
১। নবাবের বিশ্বস্ত ও অন্যতম একজন সেনাপতি।
২। শওকত জঙ্গের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
৩। সিরাজ তাকে দেওয়ানখানার পেশকার বানিয়েছিল।
৪। তার উক্তি “আমার শেষ যুদ্ধ পলাশীতেই”।
৫। কর্নেল ক্লাইভের আদেশে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মির মর্দান
১। কৌশলী যোদ্ধা ও দেশপ্রেমিক সেনাপতি।
২। নবাবের সর্বাধিক বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।
৩। শ্রেষ্ঠ বাঙালি সৈনিক।
৪। তার উক্তি:
“ইংরেজদের ঘায়েল করতে মোহনলাল, সাঁফ্রে আর আমার বাহিনীই যথেষ্ট।”
“আমাদের প্রাণ থাকতে নবাবের কোনো ক্ষতি হবে না।”
৫। পলাশীর প্রান্তরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
ড্রেক
১। ইংরেজ গভর্নর।
২। ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে আক্রমণরোধের প্রধান ছিলেন।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি:
১। সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মোট কয়টি অঙ্ক- ৪টি
২। সিরাজউদ্দৌলা নাটকে মোট কয়টি দৃশ্য-১২টি
৩। এ নাটকের মোট চরিত্র- ৪০টি।
৪। এটি ঐতিহাসিক নাটক।
৫। রস বিচারে নাটকটি কোন প্রকৃতির- ট্রাজেডিধর্মী
৬। প্রথম অঙ্কের প্রথম দৃশ্যে কোন দুর্গের বর্ণনা আছে- ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ
৭। এ নাটকে “কোম্পানি” শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয়েছে- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে
৮। ‘যুদ্ধে জয়লাভ অথবা মৃত্যুবরণ, এই আমাদের প্রতিজ্ঞা।’ উক্তিটি- ক্লেটনের
৯। “চুপ বেইমান। কাপুরুষ বাঙালির কাছে যুদ্ধ বন্ধ হবে না।” উক্তিটি ক্লেটন কাকে বলেন- ওয়ালি খানকে
১০। ইংল্যান্ডের বীর সন্তান বলে নিজের পরিচয় দেন- ক্লেটন।
১১। নবাবের গোলন্দাজ বাহিনী কোন খাল পেরিয়ে ইংরেজ দুর্গের দিকে আসছে- শিয়ালদহের মারাঠা খাল
১২। “ব্রিটিশ সিংহ ভয়ে লেজ গুটিয়ে নিলেন, এ বড় লজ্জার কথা।” উক্তিটি- উমিচাঁদের
১৩। যুদ্ধ করতে করতে প্রাণ দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিল- ক্যাপ্টেন ক্লেটন
১৪। উমিচাঁদ বলেন হলওয়েল হল – গাইস হাসপাতালের হাতুড়ে সার্জন
১৫। উমিচাঁদ কাকে কমান্ডার চিফ বলেন – হল ওয়েলকে
১৬। ইংরেজরা আÍহত্যার নামে কোথায় গোপন অস্ত্র আমদানি করছিল- কাশিমবাজারে
১৭। নবাবের নিষেধ অগ্রাহ্য করে হলওয়েল কাকে আশ্রয় দেয়- কৃষ্ণবল্লভকে
১৮। ফোর্ট উইলিয়ামে আক্রমণ বন্ধ করতে উমিচাঁদ কার নিকট চিঠি পাঠায়- রাজা মানিক চাঁদের নিকট
১৯। সিরাজউদ্দৌলার তাড়া খেয়ে ইংরেজরা আস্তানা গেড়েছে- ভাগীরথী নদীতে ফোর্ট ইউলিয়াম কলেজ
২০। কোথায় ফিরে নবাব ইংরেজদের মুক্তি দেন- মুর্শিদাবাদ।
২১। “তোমার কোম্পানির সত্তর টাকা বেতনের কর্মচারী।” উক্তিটি- ড্রেকের।
২২। “Patience is the key-word, young men” উচ্চকণ্ঠে উক্তিটি করেন- ড্রেক।
২৩। ভাগীরথী নদীতে ইংরেজদের ভাসমান জাহাজ থেকে কলকাতায় দ–রত্ব চল্লিশ মাইলের ভিতরে।
২৪। ইংরেজদের ভাসমান জাহাজ কোন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়- ম্যালেরিয়া ও আমাশয়।
২৫। “আমি চিরকালই ইংরেজের বন্ধু। মৃত্যু পর্যন্ত এই বন্ধুত্ব আমি বজায় রাখব। উক্তিটি- উমিচাঁদের।
২৬। কোম্পানির প্রতিনিধির কাছে লবণ বিক্রি করে নি বলে কারা জনৈক প্রজার বাড়িঘর জালিয়ে দেয়- কোম্পানির ষণ্ডারা।
২৭। লবণের ইজারাদার কে- কুঠিয়াল ইংরেজ।
২৮। ইংরেজরা কাকে ঘুষ দিয়ে চন্দননগর ধ্বংস করেছে- বেইমান নন্দুকুমারকে।
২৯। দশ লাখ টাকা খেসারত দিয়ে নবাবের কাছ থেকে মুক্তি লাভ করেন কে- মানিকচাঁদ।
৩০। “আমাদের কারও অদৃষ্ট মেঘমুক্ত থাকবে না শেঠজি।” সংলাপটি- মিরজাফরের।
৩১। মিরনের বাসগৃহে ছদ্মবেশে প্রথম প্রবেশ করে- রায়দুর্লভ।
৩২। “চারদিকের শুধু অবিশ্বাস আর ষড়যন্ত্র।” উক্তিটি রায়দুর্লভ কাকে উদ্দেশ্য করে বলেন- মিরনকে।
৩৩। ইংরেজদের মধ্যে কে কে রমনীয় ছদ্মবেশে মিরনের বাসগৃহে প্রবেশ করেন- ওয়াটস ও ক্লাইভ।
৩৪। দলিলে সর্বশেষ স্বাক্ষর করেন- মিরজাফর।
৩৫। শওকত জঙ্গের পিতার নাম- সৈয়দ আহমদ।
৩৬। শওকত জঙ্গের মাতার নাম- শাহ বেগম।
৩৭। মিরজাফরের বিশ্বস্ত গুপ্তচর কে- উমর বেগ জমাদার।
৩৮। বদ্রি আলি খাঁর শ্বশুরের নাম- মিরমর্দান।
৩৯। এ নাটকে কোন পাখির ডাকার ঘটনার উল্লেখ আছে- অমঙ্গলস–চক পেঁচার।
৪০। মোহনলালের অনুচরদের কাছে ক্লাইভ কর্তৃক মিরজাফরকে লেখা কয়টি চিঠি ধরা পড়েছে- ৩টি।
৪১। নবাবের রাজধানী ছিল- মুর্শিদাবাদে।
৪২। কোন সৈনিক ফ্রান্সের শত্র“দের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল- সাঁফ্রে (ফরাসি সেনাপতি)।
৪৩। কাদেরকে “Standing like pillars” বলা হয়েছে- মিরজাফর, রাজবল্লভ এবং রায়দুর্লভকে।
৪৪। আপনার বিরাট সেনাবাহিনী চুপ করে আছে “Standing like pillars”। উক্তিটি- সাঁফ্রের।
৪৫। রাইসুল জুহালাকে বুটের লাথি মারে- রাজা রামকান্ত রায়।
৪৬। নাটোরের মহারানি ভবানীর স্বামীর নাম- রাজা রামকান্ত রায়।
৪৭। ‘রাজবল্লভ’ কোন গোত্রের- ব্রাহ্মণ।
৪৮। ‘রায়দুর্লভ’ কোন গোত্রের- কায়স্থ।
৪৯। ‘মহাতার শেঠ’ কোন ধর্মের অনুসারী- জৈন।
৫০। ‘উমিচাঁদ’ কোন ধর্মের অনুসারী- শিখ।
৫১। খ্রিস্টান ওয়াটস কোন জাতের- ফিরিঙ্গি।
৫২। পলাশীর যুদ্ধে নবাবের সৈন্য ছিল- ৫০ হাজারের বেশি।
৫৩। পলাশীর যুদ্ধে নবাবের পক্ষে কামান ছিল- ৫০টির বেশি।
৫৪। পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের কামান ছিল- গোটা দশেক।
৫৫। যুদ্ধে নবাব পরাজিত হলে উমিচাঁদকে দেওয়ার কথা ছিল- ২০ লক্ষ টাকা।
৫৬। মিরজাফরকে সহায়তায় ক্লাইভ পায়- বার্ষিক ৪ লক্ষ টাকা।
৫৭। পলাতক নবাব সিরাজ মিরকাসেমের সৈন্যদের হাতে বন্দী হন- ভগবানগোলায়।
৫৮। নবাবের মুখের শেষ বাক্যটি- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’।
গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (জ্ঞানমূলক)
১। সিরাজউদ্দৌলার প্রধান গুপ্তচর কে? – নারান সিংহ।
২। নবাব আলিবর্দি খাঁর দ্বিতীয় কন্যার নাম কী?-শাহ বেগম।
৩। ঘসেটি বেগমের অন্য নাম কী? – মেহেরুন্নেসা।
৪। ফরাসি অধিকৃত এলাকা কোনটি? – চন্দননগর।
৫। ইংরেজরা আত্মরক্ষার অজুহাতে গোপনে অস্ত্র আমদানি করেছিল কোথায়? -কাশিমবাজার কুঠিতে।
৬। শওকতজঙ্গ নবাব হলে আসল কর্তৃত্ব থাকবে কার? – ঘসেটি বেগমের।
৭। কার শেষ যুদ্ধ পলাশিতেই? – মোহনলালের।
৮। সিরাজউদ্দৌলার নানার নাম কী? – আলিবর্দি খাঁ।
৯। মিরজাফর বাংলার মসনদের জন্যে কার কাছে ঋণী?- ক্লাইভের কাছে।
১০। ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে কে আত্মহত্যা করতে চায়? -উমিচাঁদ
১১। সিরাজউদ্দৌলা কোন সৈন্যদের হাতে বন্দি হয়েছেন?- মীর কাসেমের।
১২। সিরাজউদ্দৌলা কোথায় বন্দি হয়েছেন? – ভগবানগোলায়।
১৩। বন্দি সিরাজউদ্দৌলাকে কোন কয়েকখানায় রাখা হয়?- জাফরাগঞ্জের।
১৪।কার নির্দেশে সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করা হয়?- মিরনের।
১৫। ঘসেটি বেগম কাকে সিংহাসনে বসাতে চায়?- শওকতজঙ্গকে।
১৬। পলাশী কোন নদীর তীরে অবস্থিত? – গঙ্গা নদীর।
১৭। ঘসেটি বেগম কাকে অচেনা মেহমান বলেছে?- রাইসুল জুহালাকে।
১৮। ঘসেটি বেগম সম্পর্কে নবাবের কী হতেন? -খালা।
১৯। পলাশির যুদ্ধে ইংরেজদের কামান ছিল কতটি? – দশটি।
২০। সিরাজদ্দৌলার হত্যাকারীর নাম কী? – মোহাম্মদি বেগ।
২১। লবণের ইজারাদার কে? – কুঠিয়াল ইংরেজ।
২২। মিরমর্দানের জামাইয়ের নাম কী? – বদ্রি আলি খাঁ।
২৩। নবাব কলকাতা শহরের নতুন নাম দিয়েছিলেন কী?- আলিনগর
২৪। নবাবের কাছে কে দেশের স্বার্থে স্বীয় স্বার্থ ত্যাগের ওয়াদা করেছিলেন? – মিরজাফর
২৫। রাজবল্লভ কে ছিলেন?-নবাবের বিশ্বাসঘাতক এবং অর্থলোলুপ মন্ত্রী।
২৬। নবাব সিরাজউদ্দৌলা কোন জলসা চিরকালের মতো ভেঙে দিয়েছিলেন? – মতিঝিলের জলসা।
২৭। মিরজাফর কোন দেশ থেকে ভারতবর্ষে এসেছিলেন?- পারস্য থেকে।
২৮। সাদা নিশান কীসের প্রতীক?- বন্ধের বা শান্তির প্রতীক।
২৯। উমিচাঁদ কোথাকার অধিবাসী ছিলেন? – লাহোরের।
৩০। ঘসেটি বেগম আমিনা বেগমের কোন পুত্রকে পোষ্যপুত্র রাখেন? – একরামউদ্দৌলাকে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর:
১ । লবণ প্রস্তুতকারকের ওপর ইংরেজদের অত্যাচারে নবাব নিজেকে দায়ী করেছেন কেন?
উত্তর : লবণ প্রস্তুতকারকের ওপর ইংরেজদের অত্যাচারে নবাব দুর্বল শাসনব্যবস্থার জন্য নিজেকে দায়ী করেছেন। নবাব নিজে যাচাই না করে রাজ অমাত্যদের পরামর্শে ইংরেজদের লবণের ইজারা দিয়েছিলেন। তাতে দেশের রাজস্বের পরিমাণ বাড়বে, দেশের অর্থনীতি মজবুত হবে- এ ছিল নবাবের ভাবনা। আর ইংরেজরা ব্যবসায় না করে প্রায় ডাকাতি প্রস্তুতকারক প্রজাদের ওপর অত্যাচার দেখে নবাব নিজেকে দায়ী করেছিলেন, যাতে রাজ অমাত্যরাও নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন।
২। ‘অন্ধকারের ফাঁকা দরবারে বসে থেকে কোন লাভ নেই নবাব।’- কে, কেন বলেছেন?
উত্তর : ‘অন্ধকারের ফাঁকা দরবারে বসে থেকে কোনে লাভ নেই নবাব’- লুৎফুন্নেসা তার স্বামী নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে বলেছেন এ কথা। পলাশি যুদ্ধে পরাজয়ের পর নবাব সিরাজউদ্দৌলাক পুনরায় সংগঠিত হতে মুর্শিদাবাদ তাঁর দরবারে ফিরে আসেন। যুদ্ধে নবাবের পরাজয়ের খবর শুনে সাধারণ মানুষ দেশ ছেড়ে পালাতেশুরু করে। নবাব তখন বিভিন্ন লোকের সাথে পরামর্শ করতে থাকেন, জনগণকে সংঘবদ্ধ করতে চান কিন্তু কোন লাভ হয় না। অবসন্ন নবাবের কাছে আসেন স্ত্রী লুৎফা। তিনি নবাবের মাথায় হাত রেখে তাঁকে ডাকেন এবং আলোচ্য উক্তিটি করেন। তিনি নবাবকে সাহস জোগান এবং তাঁতে প্রাসাদ ত্যাগ করতে বলেন।
৩। নবাবের প্রতি ক্লাইভের ভয় না থাকার কারণ কী?
উত্তর : নাটকে ক্লাইভ চতুর ও কৌশলী একটি চরিত্র। সতেরো বছর বয়সে ভারতবর্ষে আগত ক্লাইভ ফরাসি এবং মারাঠাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে সঞ্চয় করেন প্রকৃত অভিজ্ঞতা। সম্মুখযুদ্ধের চেয়ে নেপথ্য যুদ্ধ যে অনেক কার্যকর তা ধূর্ত ক্লাইভ মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন। পলাশী যুদ্ধে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলাা তাঁর পরিষদবর্ণের ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত হয়েছেন। নিজের কৌশলী মনোভাবের জন্যই ক্লাইভের মনে কোন ভয় নেই।
৪। ‘সিরাজ আমার কেউ নয়’- ঘসেটি বেগম কেন এ কথা বলেছেন?
উত্তর : সিরাজউদ্দৌলা নবাব হওয়ায় তাঁর প্রতি খালা ঘসেটি বেগমের ছিল প্রচÐ আক্রোশ ও বিদ্বেষ। ঘসেটি বেগম ছোটবেলায় সিরাজউদ্দৌলাকে স্নেহ, আদর ও কোলে পিঠে করে মানুষ করেছিলেন। নিজের স্বার্থের অন্তরায় হওয়ার কারণে ঘসেটি বেগমের অন্তরে আর কোন স্নেহ অবশিষ্ট নেই। তিনি এখন সিরাজউদ্দৌলার মৃত্যু চান, তিনি তাই ষড়যন্ত্রকারীদের দলে যোগ দিয়েছেন। ঘসেটি বেগমের এ উক্তিতে তার নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ, লোভ ও হীনম্মন্যতার তীব্রভাবে ফুটে উঠেছে।
৫। হলওয়েল সাদা নিশান ওড়াতে বলেছিলেন কেন?
উত্তর : নবাবের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করার জন্য হলওয়েল সাদা নিশান ওড়াতে বলেছিলেন। কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে নবাবের সঙ্গে ইংরেজদের প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। এতে নবাবের সৈন্যবাহিনীর ইংরেজ বাহিনী পরাজিত হয়। তখন হলওয়েল বুঝতে পারেন যে যুদ্ধরত অবস্থায় ধরা পড়লে তার মৃত্যু অনিবার্য। তাই তিনি যুদ্ধে শান্তিচুক্তি করার জন্য সাদা নিশান ওড়াতে বলেছিলেন।
৬। সিরাজউদ্দৌলা ঘসেটি বেগমকে নিজ প্রাসাদে রাখতে চেয়েছিলেন কেন?
উত্তর : সিরাজউদ্দৌলা ষড়যন্ত্র থেকে দূরে রাখার জন্য ঘসেটি বেগমকে নিজ প্রাসাদে রাখতে চেয়েছিলেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার বড় খালা ঘসেটি বেগম। সিরাজ নবাব হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ঘসেটি বেগমের স্বার্থে আঘাত লাগে। তাই তিনি ইংরেজ ও দেশীয় রাজকর্মীদের সঙ্গে সিরাজের পতনের জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এ বিষয়টি সিরাজ তাঁর গুপ্তচর মারফত জানতে পারেন। তাই তিনি ঘসেটি বেগমকে নিজ প্রাসাদে রেখে তার ওপর নজরদারি জোরদার করেন, যাতে তিনি কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারেন।
৭। নবাব সিরাজউদ্দৌলা কেন নিজেদের শ্রেষ্ঠ বীর বলে আখ্যায়িত করেছেন?
উত্তর : নবাব আলিবর্দি খাঁর সঙ্গে থেকে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অনেক বিজয় অর্জন করেছেন বলে নবাব সিরাজউদ্দৌলা নিজেকে শ্রেষ্ঠ বীর বলে আখ্যায়িত করেছেন। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার নানা ছিলেন নবাব আলিবর্দি খাঁ। তিনি অত্যন্ত সাহসী এবং বিভিন্ন রাজবিজয়ী নবাব ছিলেন। তাঁর সঙ্গে নবাব সিরাজউদ্দৌলাও যুদ্ধে যেতেন এবং বিপক্ষ শক্তির কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে আনতেন। তিনি ছিলেন প্রবল আত্মবিশ্বাসী একজন নবাব। নানার সঙ্গে বিভিন্ন যুদ্ধে গিয়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন বলে তিনি নিজেকে বাংলার শ্রেষ্ঠ বীর বলে আখ্যায়িত করেছেন।
৮। ক্লাইভ উমিচাঁদকে যুগের সেরা বিশ্বাসঘাতক বলেছেন কেন?
উত্তর : অর্থের মোহে উমিচাঁদ যে কোন কাজ করতে পারেন বলে ক্লাইভ উমিচাঁদকে যুগের সেরা বিশ্বাসঘাতক বলেছেন। অর্থের প্রতি অপরিসীম লোভ উমিচাঁদের। অর্থের মোহে পড়ে তিনি যে কোন ধরনের কাজ করতে পারেন। তিনি অর্থের জন্য নবাবকে ছেড়ে যেমন ইংরেজদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন তেমনি আবার অর্থের জন্য ইংরেজদের ছেড়ে দিতে পারেন। এজন্যই ক্লাইভ তাকে যুগের সেরা বিশ্বাসঘাতক বলেছেন।
৯। “আমরা এমন কিছু করলাম যা ইতিহাস হবে।”- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নবাবের বিরুদ্ধে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে ক্লাইভ প্রশ্নোক্ত উক্তি করেছেন। মিরনের প্রাসাদে মিরজাফর, রাজবল্লভসহ সবাই মিলে ক্লাইভের সঙ্গে নবাবের বিরুদ্ধে গোপন বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তাদের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন সংক্রান্ত বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা ছিল বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত অধ্যায়। এ কারণে ক্লাইভ বলেছিলেন, আমরা এমন কিছু করলাম যা ইতিহাস হবে।
১০। ডাচ ও ফরাসিরদের ইংরেজরা সাহায্য চেয়েছিল কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নবাবের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য ইংরেজরা ডাচ ও ফরাসিদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল। সুচতুর ইংরেজরা কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে গোপনে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে। নবাব সিরাজউদ্দৌলা সেই খবর পান এবং ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ আক্রমণ করেন। ইংরেজরা সেই আক্রমণের খবর পেয়ে নিজেদের স্বল্প সৈন্য ও অস্ত্রের কথা চিন্তা করে ডাচ ও ফরাসিদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল। তারা ভেবেছিল ডাচ ও ফরাসিদের কাছ থেকে সাহায্য পেলে সহজেই নবাবের সৈন্যদের প্রতিহত করতে পারবে।
১১। অত্যাচারীর বিরুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার মনোভাব কেমন ছিল? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অত্যাচারীর বিরুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার মনোভাব ছিল কঠিন থেকে কঠিনতর। নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন প্রজাহিতৈষী। তিনি প্রজাদের ওপর কোনরূপ অত্যাচার করতেন না। অথচ নবাবের নির্দেশ অমান্য করে ইংরেজ কুঠিয়ালরা প্রজাদের ওপর নিমর্ম নির্যাতন করে। নবাব এক লবণচাষিকে এমন নির্মম নির্যাতিত হতে দেখে সহ্য করতে পারেননি। তাই তিনি অত্যাচারী ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রজাদের কঠিন অবস্থান নিতে আহŸান জানান এবং নিজেও এ ব্যাপারে কঠোর হন।
১২। ‘এই প্রাণদান আমরা ব্যর্থ হতে দেব না।’ – উক্তিটির ভাবার্থ কী?
উত্তর : ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে এ উক্তিটি করেছেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা। পলাশিতে যুদ্ধের নামে হয়েছে শুধু প্রতারণা আর অভিনয়। মুষ্টিমেয় দেশপ্রেমিক তাতে প্রাণ দিয়েছেন। পুনরায় যুদ্ধ করে জয়ী হয়ে, দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করে বীরদের এহেন প্রাণাদনকে তিনি অর্থবহ করে তুলতে চান। দেশের জন্যে যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের আত্মত্যাগকে নবাব মহিমান্বিত করে রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
১৩। মিরন সিরাজউদ্দৌলাকে মোহাম্মদি বেগকে দিয়ে হত্যা করিয়েছিলেন কেন?
উত্তর : মদ্যপ ও নারীলোলুপ মিরন ক্ষমতার লোভে মোহাম্মদী বেগকে দিয়ে সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করিয়েছিল। অন্ধকার কারাকক্ষে হতভাগ্য নবাব যখন সামান্য আলোর পরশ পেতে লুৎফা ও বাংলার মানুষের জন্যে শুভ কামনা করছিলেন তখন মিরন মোহাম্মদি বেগকে নিয়ে কারাকক্ষে প্রবেশ করে। মিরনের ধারণা সিরাজউদ্দৌলাকে সরিয়ে দিলেই ক্ষমতা নিস্কন্টক হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার এ আশা নিরাশায় পরিণত হয়।
১৪। উমিচাঁদ মিরজাফরকে খুন করে ফেলার কথা কেন বলেছিলেন?
উত্তর : প্রতারিত উমিচাঁদ চুক্তির অর্থ না পেয়ে উন্মাদের মতো উপর্যুক্ত কথা বলেছেন। উমিচাঁদ নবাবের বিরুদ্ধাচরণ এবং ইংরেজদের সাহায্য করতে এ শর্তে রাজি হয়েছিলেন যে, নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন হলে তাঁকে ২০ লক্ষ টাকা অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে। লর্ড ক্লাইভের সঙ্গে তাঁর এ চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু পরে ক্লাইভ এ চুক্তির টাকা প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানান। তখন উর্মিচাঁদ উন্মাদের মতো বলেছিলেন, ম্যাড বানিয়েছ এখন খুন করে ফেল।
১৫। ‘ইনি কী নবাব না ফকির।’ মিরজাফর সম্বন্ধে ক্লাইভের এ উক্তির কারণ কী?
উত্তর : কর্ণেল ক্লাইভও দরবারে প্রবেশ করে নতুন নবাবকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বিস্মিত হন এবং ব্যাঙ্গ করে বলেন, ইনি কী নবাব নাফকির। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর পূর্ব চুক্তিমতো নবাব হন বিশ্বাসঘাতক ক্ষমতালোভী মিরজাফর। রাজদরবারে এসে মিরজাফর সিংহাসনে না বসে সিংহাসনের হাতল ধরে কর্নেল ক্লাইভের জন্যে অপেক্ষা করতে থাকেন। তখন নতুন বিশ্বাসঘাতক নবাবকে দেখে ক্লাইভ উপরিউক্ত উক্তিটি করেছিলেন।
১৬। “সিরাজউদ্দৌলা এখন কয়েদি, ওয়ার ক্রিমিন্যাল।’- উক্তিটি বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যার জন্য মিরজাফরের সাথে ক্লাইভ প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছিলেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার মধ্যে ছিল অপরিমেয় দেশপ্রেম কিন্তু ভাগ্যের কাছে পরাজিত হয়ে তিনি হয়েছেন কয়েদি। পলাশির যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর তাঁকে আটক করে অন্ধকার কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। এরপর ক্লাইভ তাঁকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করতে মিরজাফরকে আদেশ দেন। মূলত নবাবকে হত্যার জন্যই ক্লাইভ তাকে ‘ওয়ার ক্রিমিন্যাল’ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
১৭। মিরজাফর কেন ইংরেজদের সাথে হাত মিলিয়েছিলেন?
উত্তর : মিরজাফর আত্ম স্বার্থসিদ্ধির জন্য ইংরেজদের সাথে হাত মিলিয়েছিলেন। ইংরেজদের প্রলোভনে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার আকাঙ্খায় মিরজাফর নবাবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। পলাশির যুদ্ধে সেনাপতির পদে অধিষ্ঠিত হন। পবিত্র কোরান ছুঁয়ে নবাবের পক্ষে যুদ্ধ করার শপথ নিয়েও তিনি তা করেন নি, বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। শেষ পর্যন্ত ইংরেজদের সাথে হাত মিলিয়ে নবাবকে পরাজিত করেছেন।
১৮। কুঠিয়াল ইংরেজরা গরিব প্রজাদের নানাভাবে অত্যাচার করত কেন?
উত্তর : লবণ বিক্রি করতে অসম্মত হলে কুঠিয়াল ইংরেজরা গবির প্রজাদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার করত। লবণের ইজারাদার কুঠিয়াল ইংরেজরা স্থানীয় লোকদের যাবতীয় লবণ তিন আনা বা চার আনা দরে পাইকারি হিসেবে কিনে নেয়। তারপর এখানকার লোকের কাছেই সে লবণ বিক্রি করে দুই টাকা বা আড়াই টাকা মণ দরে। যারা এটি জানত তারা তাদের কাছে লবণ বিক্রি করতে চাইত না। আর তখন তাদের ওপর নেমে আসত অমানুষিক অত্যাচার।
১৯। “আমার বাসগৃহ অনেকটা নিরাপদ”- কেন এ কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : প্রশ্নোক্ত কথাটি নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের শঙ্কা দূর করার জন্য মিরন বলেছিলেন। মিরজাফরের পুত্র মিরন সর্বদা ভোগবিলাসে মত্ত থাকে। তাই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে তাকে সন্দেহ করার কোন অবকাশ নেই। এর এ কারণে তার বাসগৃহে যদি গোপন বৈঠক বসে তবে কেউ তার খবর নেবে না। তাই সে তার বাসগৃহকে অনেকটা নিরাপদ বলেছে।
২০। যুদ্ধ চলাকালে মোহনলাল নবাব সিরাজকে রাজধানীতে ফিরে যেতে বলেছিলেন কেন?
উত্তর : যুদ্ধ চলাকালে নতুন করে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য মোহনলাল পলাশির প্রান্তর থেকে সিরাজউদ্দৌলাকে রাজধানীতে ফিরে যেতে বলেছিলেন। পলাশীর যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে নবাব নিজে যখন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত তখন মোহলাল নবাবকে অবিলম্বে রাজধানীতে ফিরে যেতে বলেন। কারণ সেখানে গিয়ে শক্তি সঞ্চয় করে আত্মরক্ষার চেষ্টা করতে হবে। যুদ্ধের বিধি অনুসারেই হাল ছেড়ে বিজয়ী শত্রæর কাছে আত্মসমর্পণ করা যাবে না। স্বাধীনতা বজায় রাখার শেষ চেষ্টা করতে হবে। এসব কারনে মোহনলাল নবাবকে রাজধানীতে ফিরে যেতে বলেছিলেন।
২১। সিরাজউদ্দৌলাকে ক্ষমতাচ্যুত করত পারলে ঘসেটি বেগমের খুশি হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : সিরাজদ্দৌলাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারলে ঘসেটি বেগমের খুশির কারণ প্রতিহিংসা। নবাব আলিবর্দি খাঁর মৃত্যুর পরবর্তীকালে বাংলার মসনদে আরোহণের স্বপ্ন দেখেছিলেন ঘসেটি বেগম। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে বাংলার নবাব হন সিরাজ, যা তাকে অস্তিত্বের সংকটে ফেলে দেয়। এজন্যই তো তিনি সর্বদা সিরাজের পতন কামনা করতেন এবং সিরাজের পতন হলে তার সবচেয়ে আনন্দিত হওয়া বিষয়টিও তিনি ব্যক্ত করেছেন।
২২। মোহনলাল অনুমতি ছাড়াই আকস্মিকভাবে মিরনের মহলে প্রবেশ করেছিলেন কেন?
উত্তর : গুপ্তচর মারফত নবাবের বিরুদ্ধে চক্রান্তের খবর শুনে মোহনলাল অনুমতি ছাড়াই আকস্মিকভাবে মিরনের মহলে প্রবেশ করেন। নবাবের সভাসদরা বিশ্বাসঘাতক মিরনের প্রাসাদে বসে ইংরেজদের সঙ্গে নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন। এতে তারা একটি চুক্তি স্বাক্ষরও করেন, যা গুপ্তচর মারফত নবাবের বিশ্বস্ত সেনাপতি জেনে যান। তাই তিনি কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই আকস্মিকভাবে মিরনের প্রাসাদে প্রবেশ করেন।
২৩। নবাব মোহনলালের উপর ভরসা রেখেছিলেন কেন?
উত্তর : নবাবের বিরুদ্ধে মূল্য মোহনলাল দিয়েছিলেন বলেই নবাব তার ওপর ভরসা রেখেছিলেন। সিরাজউদ্দৌলার সবচেয়ে বিশ্বস্ত সেনাপতি ছিলেন মোহনলাল। যিনি নিজের প্রাণ দিয়ে হলেও নবাবের সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে সচেষ্ট ছিলেন। এ কারণেই তার প্রতি নবাব অগাধ বিশ্বাস ও ভরসা রেখেছিলেন। ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গেআক্রমণের সময় তিনিই নবাবের পক্ষে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করেছিলেন।
২৪। জগৎশেঠের মতে দরবারে মিরজাফরের পৌঁছেতে বিলম্ব হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : দরবারে মিরজাফরের বিলম্বে পৌঁছার কারণ হিসেবে জগৎশেঠ চারটি বিষয় উল্লেখ করেছিলেন। জগৎশেঠের মতে, ঢাল তলোয়ার ছেড়ে নবাবি লেবাস নিচ্ছেন খাঁ সাহেব, ফলে একটু দেরি তো হবেই। তাছাড়া চুলে নতুন খেজাব, চোখে সুরমা, দাড়িতে আতর লাগানোর মতো কাজে তাড়াহুড়ো করা যায় না বলে খাঁ সাহেবের দরবারে পৌঁছাতে বিলম্ব ঘটছে।
২৫। মিরজাফর আলী খান ক্লাইভের হাত ধরে বাংলার মসনদে বসেছিলেন কেন?
উত্তর : ক্লাইভের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের জন্য তার হাত ধরে মিরজাফর বাংলার মসনদে বসেছিলেন। পলাশির যুদ্ধেবিশ্বাসঘাতক নির্লজ্জ মিরজাফর ক্লাইভের সঙ্গে যোগ দিয়ে সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করেন। এরপর বাংলার নবাব পদ গ্রহণ করেন। মূলত ক্লাইভের কূটকৌশলের কারণেই তিনি বাংলার নবাব হাতে পেরেছিলেন। তাই ক্লাইভের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য তিনি তার হাত ধরে বাংলার মসনদে বসেছিলেন।
২৬।সভাসদ এবং কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটসন সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হলেন কেন?
উত্তর : সিরাজউদ্দৌলার ন্যায় শাসন, তাঁর জবাবদিহিতামূলক আচরণের কারণে সভাসদ ও কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটস তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন স্বাধীনচেতা নবাব। তাই তাঁর রাজ্যে ইংরেজ অপশাসন মেনে নেননি, বরং ওয়াটসনের কাছে এর জবাবদিহিতা চেয়েছেন। এছাড়া সভাসদকে ধর্মীয় গ্রন্থ স্পর্শ করিয়ে দেশরক্ষার কাজ করার আহ্বান করেছেন। এর ফলে তারা নবাবের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হলেন।
২৭। “আরে বাপরে, একেবারে কালকেউটে।”- উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: উমিচাঁদের অর্থলোভী মনোভাবের পরিচয় পেয়ে মিরজাফর আলোচ্য উক্তিটি করেছেন। উমিচাঁদ একজন অর্থলোভী মানুষ। মিরজাফরের সঙ্গে মিলে নবাবের বিরুদ্ধে তিনিও গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। তবে এতে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল অর্থ অজন করা। এখানে উমিচাঁদের স্বভাবকে বোঝাতেই মিরজাফর প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছিলেন।
২৮। “আজ নবাবকে ডোবাচ্ছেন, কাল আমাদের পথে বসাবেন না তা কি বিশ্বাস করা যায়?- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মাধ্যমে ক্লাইভ মিরজাফরসহ তার সহযোগীদের বেইমানি করার স্বভাবের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। সিরাজউদ্দৌলার প্রধান সেনাপতি মিরজাফর এবং তার সহযোগীরা স্বার্থের জন্য নবাবকে ত্যাগ করেন। এরপর তারা ইংরেজদের সঙ্গে হাত মেলান বাংলার মসনদে আরোহণ করার জন্য। তারপরও ইংরেজ প্রতিনিধি তাদের বিশ্বাস করতে চান না। কেননা আজ যেমন স্বার্থের মোহে তারা নবাবকে ত্যাগ করেছেন, কাল ইংরেজদের সঙ্গেও তেমনি একই কাজ করতে পারেন। উক্তিটি দ্বারা এ কথাই বোঝানো হয়েছে।
২৯। নবাব ওয়াটসনকে দরবারে আশ্রয় দিয়েছিলেন কেন?
উত্তর : আলিনগরে সন্ধি অনুযায়ী নবাব ওয়াটসনকে দরবারে আশ্রয় দিয়েছিলেন। কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে আক্রমণকালে নবাবের সঙ্গে ইংরেজদের সন্ধি হয়। এ সন্ধি অনুযায়ী নবাব কোম্পানির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চেয়েছিলেন। এই সন্ধির স্বীকৃতিস্বরূপ কোম্পানির একজন প্রতিনিধি ওয়াটসনকে তাঁর দরবারে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
৩০। “কিন্তু আমার বিশ্বাস করতে প্রবৃত্তি হয় না যে, ওরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়বে।”- নবাব কেন এ কথাটি বলেছেন?
উত্তর : মিরজাফর ও তার সহযোগীদের ওপর অবিশ্বাসের কারণে নবাব প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার সেনাপতি ছিলেন মিরজাফর। তিনি ইংরেজদের সঙ্গে গোপনে নবাবের পতনের জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন এবং কৌশলে পলাশির যুদ্ধের আয়োজন করেন। এ বিষয়টি নবাব সিরাজউদ্দৌলা উপলদ্ধি করতে পেরে আলোচ্য কথাটি বলেছেন।
HSC বাংলা সাহিত্য গল্প,কবিতা,উপন্যাস
নং | গল্প + কবিতার নাম | সাহিত্যিকদের নাম | লিঙ্ক |
---|---|---|---|
০১ | আমার পথ | কাজী নজরুল ইসলাম | Click |
০২ | বিড়াল | বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | Click |
০৩ | চাষার দুক্ষু | বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত | Click |
০৪ | বায়ান্নর দিনগুলো | শেখ মুজিবুর রহমান | Click |
০৫ | অপরিচিতা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Click |
০৬ | মাসি-পিসি | মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | Click |
০৭ | জীবন ও বৃক্ষ | মোতাহের হোসেন চৌধুরী | Click |
০৮ | জাদুঘরে কেন যাব | আনিসুজ্জামান | Click |
০৯ | নেকলেস | গী দ্য মোপাসাঁ/ পূর্ণেন্দু দস্তিদার | Click |
১০ | রেইনকোট | আখতারুজ্জামান ইলিয়াস | Click |
১১ | আহ্বান | বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় | Click |
১২ | মহাজাগতিক কিউরেটর | মুহম্মদ জাফর ইকবাল | Click |
১৩ | সাম্যবাদী | কাজী নজরুল ইসলাম | Click |
১৪ | ঐকতান | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Click |
১৫ | বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ | মাইকেল মধূসুদন দত্ত | Click |
১৬ | নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় | সৈয়দ শামসুল হক | Click |
১৭ | তাহারেই পড়ে মনে | সুফিয়া কামাল | Click |
১৮ | ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ | শামসুর রাহমান | Click |
১৯ | রক্তে আমার অনাদি অস্থি | দিলওয়ার খান | Click |
২০ | সেই অস্ত্র | আহসান হাবিব | Click |
২১ | আঠারো বছর বয়স | সুকান্ত ভট্টাচার্য | Click |
২২ | লোক লোকান্তর | মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ | Click |
২৩ | এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে | জীবনানন্দ দাশ | Click |
২৪ | আমি কিংবদন্তির কথা বলছি | আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ | Click |
২৫ | লালসালু | সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ | Click |
২৬ | সিরাজউদ্দৌলা | সিকান্দার আবু জাফর | Click |
২৭ | বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন | বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | Click |
২৮ | বিদ্রােহী | কাজী নজরুল ইসলাম | Click |
২৯ | গৃহ | রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন | Click |
৩০ | মানব কল্যাণ- | আবুল ফজল | Click |