সোনার তরী- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সোনার তরী- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সোনার তরী- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রচনার বক্তব্যবিষয়:

‘সোনার তরী’ কবিতাটি একটি রূপক কবিতা। এ কবিতায় একটি জীবনদর্শন অন্তলীন হয়ে আছে। কবিতাটি ‘একটি ছোট ধানখেত, তার চারপাশে স্রোতের বিস্তার, সোনার ধান নিয়ে। একা কৃষক, অবলীলায় তরি বেয়ে আসা মাঝি’- এই কয়েকটি চিত্রকল্প এবং এগুলোর অনুষঙ্গে রচিত। এই কবিতায় দ্বীপসদৃশ ধানখেতের চারপাশে ক্ষুরধার বর্ষার নদীস্রোত হিংস্র হয়ে খেলা করছে। সেখানে রাশি রাশি সোনার ধান নিয়ে অপেক্ষা করছে এক কৃষক, তার মনে নানা আশঙ্কা। সেখানে ভরা পালে তরি বেয়ে এক মাঝিকে আসতে দেখে কৃষকের মনে আশার সঞ্চার হয়। নিঃসঙ্গ কৃষক আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে, তার মনে হয় মাঝিটি তার চেনা। কিন্তু সেই মাঝি নির্বিকারভাবে তার পাশ দিয়ে অজানা দেশের দিকে তরি নিয়ে চলে যেতে থাকে। তখন কৃষক তাকে কাতর অনুনয় করে কূলে তরি ভিড়িয়ে সোনার ধানটুকু নিয়ে যেতে। মাঝি তরি ভিড়িয়ে তাতে সোনার ধান ভরে নিয়ে অজানার পথে চলে যায়। সেই তরিতে ধানের স্থান হলেও কৃষকের স্থান হয় না। আর শূন্য নদীতীরে অপূর্ণতার বেদনা নিয়ে কৃষক একা গুমড়ে মরে। এভাবে এ কবিতার রূপকল্পটি পূর্ণতা লাভ করেছে। এখানে মহাকালের চিরন্তন স্রোতে মানুষ যে অনিবার্য বিষয়টি এড়াতে পারে না তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মানুষ থাকে না, টিকে থাকে মানুষের সৃষ্ট সোনার ফসলরূপী উত্তম কর্ম। এভাবে কবির সৃষ্টিকর্ম কালের সোনার তরিতে স্থান পেলেও ব্যক্তি কবির স্থান সেখানে হয় না। এক অতৃপ্তির বেদনা নিয়ে তাকে অপেক্ষা করতে হয় অনিবার্যভাবে মহাকালের শূন্যতায় বিলীন হওয়ার জন্য।

শব্দার্থ:

  • ভরসা → আশা, আশ্বাস, নির্ভরশীলতা, আস্থা।
  • ক্ষুরধারা → ক্ষুরের মতো ধারালো যে প্রবাহ বা স্রোত।
  • খরপরশা → শাণিত বা ধারালো বর্শ। এখানে ধারালো বর্শার মতো।
  • তরুছায়া মসীমাখা → গাছ পালার কালচে রং মাখা।
  • আমি একেলা → কৃষক নিজে, কবির নিঃসঙ্গ অবস্থা প্রকাশ করেছে।
  • বাঁকা জল → বাঁকা জল এখানে কালস্রোতের খেলা।
  • থরে বিথরে → স্তরে স্তরে, সুবিন্যস্ত করে।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  1. ‘সোনার তরী’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতা।
  2. ‘সোনার তরী’ কবিতার কয়েকটি চিত্রকল্পÑএকটি ছোট ক্ষেত। চারপাশে প্রবল স্রোতের বিস্তার। সোনার ধান নিয়ে একলা কৃষক। অবলীলায় তরী বয়ে আসা।
  3. রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘মহাকাল আমার সর্বস্ব লইয়া যায় বটে, কিন্তু আমাকে ফেলিয়া যায় বিস্মৃতি ও অবহেলার মধ্যে।
  4. ‘সোনার তরী’ কবিতাটি ৮ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
  5. ‘সোনার তরী’ কবিতায় কে এই মাঝি? রবীন্দ্রনাথের মতে এই মাঝি আসলে মহাকালের প্রতীক।
  6. বিশ্বকবি পূর্ববঙ্গের শিলাইদহে পদ্মাবক্ষে, বোটে বসে ১২৯৮ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে ‘সোনার তরী’ কবিতাটি রচনা করেন।
  7. ‘সোনার তরী’ কবিতাটি প্রকৃত অর্থেই দার্শনিকতাপূর্ণ একটি রূপক কবিতা।
  8. ‘সোনার তরী’ কবিতায় নির্ধারক বিশেষণ -রাশি রাশি ভারা ভারা।
  9. ‘সোনার তরী’ কবিতায় সাপেক্ষ সর্বনামের উদাহরণ যত চাও তত লও।
  10. ‘সোনার তরী’ কবিতায় ‘তরী’ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? – মহাকালের অনির্দৃষ্ট পরিসীমা অর্থে।
  11. ‘সোনার তরী’ কবিতার প্রথম লাইন-গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
  12. ‘সোনার তরী’ কবিতার শেষ লাইন-যাহা ছিল নিয়ে গের সোনার তরী।
  13. ‘সোনার তরী’ কবিতায় ‘সোনার ধান’ বলতে কবি বস্তুজগতে সৃজনশীল মানুসের সৃষ্টি সম্ভারকে বুঝিয়েছেন।

১. জন্মগ্রহণ – ৭ মে ১৮৬১ (২৫ বৈশাখ ১২৬৮)।
২. সম্পাদিত পত্রিকা – সাধনা, বঙ্গদর্শন,তত্ত্ববোধনী, ভারতী, ভান্ডার।
৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম – ভানুসিংহ ঠাকুর।
৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে নোবেল পায় – ১৯১৩ সালে।
৫. নোবেল চুরি হয় – ২০০৪ সালের ২৪ মার্চ শান্তিনিকেতন থেকে।
৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পান – গীতাঞ্জলি কাব্যের ইংরেজি অনুবাদ ঝড়হম ঙভভবৎরহমং এর জন্য।
৮. গীতাঞ্জলি ইংরেজি অনুবাদ করেন – ডবলিউ বি ইয়েটস।
৯. তার মোট কাব্য সংখ্যা – ৫৬ টি।
১০. প্রথম কাব্যগ্রন্থ – কবিকাহিনী।
১১. দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ – বনফুল।
১২. রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ কাব্য – সঞ্চয়িতা।
১৩. রবীন্দ্রনাথের শেষ কাব্যগ্রন্থ ও শেষ গ্রন্থ – শেষলেখা।
১৫. রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস – বৌ ঠাকুরাণীর হাট।
১৬. হিন্দিতে অনূদিত প্রথম উপন্যাস – রাজর্ষি।
১৭. বাংলা সাহিত্যে প্রথম মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস – চোখের বালি।
১৮. রবীন্দ্রনাথের বৃহত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস – গোরা।
১৯. চলিত ভাষায় লিখিত প্রথম উপন্যাস – ঘরে বাইরে ।
২০. ছোটগল্প ধর্মী উপন্যাস – চতুরঙ্গ।
২২. ছোটগল্পের জনক – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২৩. তার প্রকাশিত প্রথম ছোটগল্প – ভিখারিণী।
২৪. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্প – দেনাপাওনা।
২৫. সর্বমোট ছোটগল্প – ১১৯ টি।
২৭. রবীন্দ্রনাথের ট্রাজেডি নাটক – বিসর্জন।
২৮. কাব্যনাট্য-মালিনী।
২৯. কৌতুক নাটক – বৈকুন্ঠের খাতা ।
৩০. ভ্রমণ কাহিনী – রাশিয়ার চিঠি , জাপান যাত্রী, পারস্য, পথের সঞ্চয়।
৩১. রবীন্দ্রনাথের প্রহসন – গোড়ায় গলদ, বৈকুন্ঠের খাতা, চিরকুমার সভা, হাস্যকৌতুক, ব্যঙ্গকৌতুক, মায়ার খেলা।
৩২. রবীন্দ্রনাথের আতœজীবনী – চরিত্রপূজা, জীবনস্মৃতি, ছেলেবেলা।
৩৩. রবীন্দ্রনাথ কাজী নজরুলকে উৎসর্গ করেন – বসন্ত নাটক।
৩৪. রবীন্দ্রনাথ সোনার তরী রচনা করেন – শিলাইদাহ থেকে।
৩৫. রবীন্দ্রনাথ ঢাকায় আসেন – ২ বার। ১৮৯৮ ও ১৯২৬ সালে।
৩৬. নাইট উপাধি লাভ করেন-১৯১৫ সালে।
৩৭. নাইট উপাধি ত্যাগ করেন- ১৯১৯ সালে।
৩৮. শান্তি নিকেতন থেকে ডিলিট ডিগ্রি লাভ করেন-১৯১৩ সালে।
৩৯. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট ডিগ্রি লাভ করে- ১৯৩৬ সালে।
৪০. অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট ডিগ্রি লাভ করে-১৯৪০ সালে।
৪১. সাহিত্যিক হয়েও চিত্রশিল্পী ছিলেন – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৪২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম-শতবার্ষিকী পালিত হয় – ১৯৬১ ।
৪৩. মৃত্যু – ৭ আগস্ট ১৯৪১ (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮)।

 

১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম কী ?

উত্তর : ভানুসিংহ ঠাকুর।

২। রবীন্দ্রনাথের পিতার নাম কী ?

উত্তর : মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মায়ের নাম কী ?

উত্তর : সারদা দেবী।

৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?

উত্তর : গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য।

৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ক্ষণিকা’ কী জাতীয় গ্রন্থ ?

উত্তর : কাব্যগ্রন্থ।

৬। ‘চিত্রা’ কাব্যগ্রন্থের কবি কে ?

উত্তর : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৭। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ কোন ধরনের রচনা ?

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ একটি উপন্যাস।

৮। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গোরা’ কী জাতীয় রচনা ?

উত্তর : উপন্যাস।

৯। ‘চিরকুমার সভা’ কী ?

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ রচিত একটি নাটক।

১০। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শিক্ষা’ কোন ধরনের রচনা ?

উত্তর : প্রবন্ধ জাতীয় রচনা।

১১। ‘কালান্তর’ কী ধরনের রচনা ?

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ।

১২। কাকে বাংলা ছোটগল্পের পথিকৃৎ বলা হয় ?

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।

১৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী ?

 উত্তর : ‘বনফুল’।

১৪। আপাতভাবে ‘সোনার তরী’ কবিতাটি মূলত কোন ছন্দে রচিত ? উত্তর : মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।

১৫। ‘সোনার তরী’ কবিতার কত মাত্রার পূর্ণ পর্বে বিন্যস্ত ?

উত্তর : ৮ + ৫ মাত্রার।

১৬। ‘রাশি রাশি ভারা ভারা’ লাইনটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে ?

উত্তর : বহু বেশি বোঝানো হয়েছে।

১৭। ‘সোনার তরী’ কবিতায় ‘আমি’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?

উত্তর : ‘সোনার তরী’ কবিতায় ‘আমি’ দ্বারা সাধারণ অর্থে কৃষককে এবং প্রতীকী অর্থে শিল্পস্রষ্টা কবিকে বোঝানো হয়েছে।

১৮। ক্ষুরধার নদীস্রোত হিংস্র হয়ে কোথায় খেলা করছে ?

উত্তর : দ্বীপসদৃশ ধানখেতের চারপাশে।

১৯। রাশি রাশি সোনার ধান কেটে কে অপেক্ষমাণ ?

উত্তর : এক কৃষক।

২০। নিঃসঙ্গ কৃষক কাকে দেখে আশার আনন্দে উদ্বেলিত হয় ?

উত্তর : তরি বেয়ে আসা এক মাঝিকে দেখে।

২১। কৃষক মাঝিকে অনুনয় করে কী বলে ?

উত্তর : কূলে তরি ভিড়িয়ে তার সোনার ধানটুকু নিয়ে যেতে বলে।

২২। সোনার ধান নিয়ে তরি কোথায় চলে যায় ?

উত্তর : অজানা দেশে।

২৩। সোনার ধান নিয়ে তরি চলে যাওয়ার পর কৃষক কী করে ?

উত্তর : অপূর্ণতার বেদনা নিয়ে কৃষক একা অপেক্ষা করে।

২৪। ‘সোনার তরী’ কবিতায় মূলত কী অস্তলীন হয়ে আছে ?

উত্তর : কবির জীবনদর্শন।

২৫। মহাকালের চিরন্তন স্রোতে মানুষ কী এড়াতে পারে না ?

উত্তর : অনিবার্য পরিণতি অর্থাৎ মৃত্যু।

২৬। ব্যক্তিসত্তা মহাকালের করালগ্রাসের শিকার হলেও কোনটি টিকে থাকে ?

উত্তর : ব্যক্তির মহৎ সৃষ্টিকর্ম।

২৭। এক অতৃপ্তির বেদনা নিয়ে কবিকে কিসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ?

উত্তর : মহাকালের শূন্যতায় বিলীন হওয়ার জন্য

২৮। ‘সোনার তরী’ কবিতায় ‘আমি একেলা’ দ্বারা কী প্রকাশ পেয়েছে?

উত্তর : কৃষক কিংবা কবির নিঃসঙ্গ অবস্থা।

২৯৷ ‘সোনার তরী ‘ কবিতায় গ্রামখানি কিসে ঢাকা?

উত্তর : মেঘে ঢাকা।

৩০৷ ‘সোনার তরী’ কবিতায় ‘থরে বিথরে’ অর্থ কী?

উত্তর : স্তরে স্তরে, সুবিন্যস্ত করে।

৩১। ‘সোনার তরী’ কবিতায় কিসের চারপাশে ঘূর্ণায়মান স্রোতের উদ্দামতা ?

উত্তর : ধানখেতের চারপাশে।

অনুধাবন মূলক প্রশ্ন:

০১। ‘সোনার তরী’ কবিতার মূলভাব ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ‘ সোনার তরী’ কবিতার মূলভাব হলো মহাকালের স্রোতে ভেসে যায় মানুষের জীবন- যৌবন, কিন্তু বেঁচে থাকে মানুষেরই সৃষ্ট সোনার ফসল। ক্ষুরধার বর্ষার নদীস্রোত হিংস্র হয়ে খেলা করছে দ্বীপসদৃশ ধানখেতের চারপাশে। সেখানে রাশি রাশি সোনার ধান কেটে নানা আশঙ্কা নিয়ে একাকী অপেক্ষমাণ এক কৃষক। এমন সময় অপ্রত্যাশিতভাবে তরি বেয়ে আসে এক মাঝি। নিঃসঙ্গ কৃষক আশার আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে, যখন তার মনে হয় মাঝিটি যেন তার চেনা। কিন্তু নির্বিকারভাবে অজানা দেশের দিকে চলে যেতে থাকে সেই মাঝি। কৃষক তখন কাতর অনুনয় করে, মাঝি যেন কূলে তরি ভিড়িয়ে তার সোনার ধান নিয়ে যায়। অবশেষে ঐ সোনার তরিতে তার ভারা ভারা ফসল নিয়ে মাঝি চলে যায়, কিন্তু ছোট তরিতে কৃষকের স্থান হয় না। সোনার ধান নিয়ে তরি চলে যায় অজানা দেশে, আর এক অতৃপ্তির বেদনা নিয়ে তাকে অপেক্ষা করতে হয় অনিবার্যভাবে মহাকালের শূন্যতায় বিলীন হওয়ার জন্য।

০২। ‘ঢেউগুলি নিঝুপায়/ভাঙে দু ধারে’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?  ঢেউগুলি নিরুপায়/ভাঙে দু ধারে বলতে কবি করি বেয়ে মাঝির এগিয়ে চলার উদ্দামতাকে বুঝিয়েছেন। ‘সোনার তরী’ কবিতায় ক্ষুরধার বর্ষার স্রোতে ছোট ধানখেতের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষকের দিকে এক প্রত্যাশিত মাঝি এগিয়ে আসে। সে তরি বেয়ে আসার সময় দুধারে ঢেউগুলো নিরূপায় ভেঙে পড়ে। তরির গতিতে নদীর স্রোত কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। এই অবস্থা দেখে কৃষকের মনে আশার সবার হয়। কৃষক তার ‘সোনার ধান’ নিয়ে যে সংকটে পড়ে আছে তা থেকে উত্তরণের উপায় মনে করে ঐ ভরি বেয়ে আসা মাঝির মাধ্যমে।

০৩। সোনার তরী কবিতায় কৃষক ভীত কেন? ‘সোনার তরী’ কবিতায় কৃষক তার চারপাশে ঘূর্ণায়মান স্রোতের উদ্দামতা দেখে ভীত।

‘সোনার তরী’ কবিতায় এক কৃষক ঘন বর্ষার দিনে দ্বীপসদৃশ ধানখেতে রাশি রাশি ধান কেটে নিয়ে নদীতীরে অপেক্ষা করে। সেখানে চারপাশের ঘূর্ণায়মান উদ্দামতা দ্বীপসদৃশ ধানখেতেকে যেন বিলীন করে দিতে চাইছে। কৃষক সেখানে একাকী দাঁড়িয়ে নানা আশঙ্কা করছে। তাকে কেউ উদ্ধার করতে আসছে না। রাশি- রাশি ধান রেখে কৃষক বাঁকা স্রোত উপেক্ষা করে যেতে পারছে না। শূন্য নদীতীরে সে একা অপেক্ষা করছে। অনিবার্য পরিণতির কথা ভেবে কৃষক তাই ভীত। তার আশঙ্কা ঘূর্ণায়মান স্রোতের উদ্দামতা তাকেসহ সবকিছু বিলীন করে দিবে।

০৪। ‘সোনার তরী’ কবিতায় কৃষক মাঝির দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কী বলেছিল ? ব্যাখ্যা কর ।

‘সোনার তরী’ কবিতায় কৃষক মাঝির দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বলেছিল, “ ওগো, তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে ? ” ‘সোনার তরী কবিতায় চারপাশের প্রবল স্রোতের মধ্যে জেগে থাকা দ্বীপের মতো ছোট একটি ধানখেতে উৎপন্ন সোনার ধানের সম্ভার নিয়ে নিঃসঙ্গ এক কৃষক অপেক্ষা করে। আকাশের ঘন মেঘ আর ভারী বর্ষণে পাশের খরস্রোতা নদী হিংস্র হয়ে উঠেছে। চারদিকে বাঁকা জল কৃষকের মনে ঘনঘোর আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে ওই খরস্রোতা নদীতে একটি ভরা পাল সোনার নৌকা নিয়ে এগিয়ে আসে এক মাঝি। তাকে দেখে কৃষকের মন আনন্দে উদ্বেলিত হয়। কিন্তু কোনো কথা না । বলে মাঝি কৃষককে উপেক্ষা করে চলে যেতে থাকে। তখন কৃষক তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিনয়ের সঙ্গে বলে ‘ওগো, তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে? বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন

  • ‘চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।–বাঁকা জল’ কিসের প্রতীক? (ঘ-২০০৮-০৯) 
  • ‘সােনার তরী’ কবিতার ছন্দ- (ক-২০০৮-০৯)
  • খরপরশা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ (ক-২০০৭-০৮)
  • সােনার তরী কবিতা কোন ছন্দে রচিত? (ক-২০০৬-০৭) 
  • রবীন্দ্রনাথের লেখা গ্রন্থ কোনটি? (ক-২০০৬-০৭)। 
  • ‘সােনার তরী’ কবিতায় কোন ঋতুর কথা আছে? (ঘ-২০০১-০২) 
  • রবীন্দ্রনাথের সােনার তরীতে মূলত ব্যক্ত হয়েছে ? (ঘ-২০০৪-০৫) 
  • ‘সােনার তরী’ কবিতায় সােনার ধান কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে- (ঘ-২০০৬-০৭) 
  • কর্মীর চেয়ে কর্ম অধিক প্রত্যাশিত’- এটি কোন কবিতার ভাবার্থ? (গ-২০১০-১১) 
  • কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কোন নাটকটি কবি নজরুলকে উৎসর্গ করেছিলেন? (গ-২০০৬-০৭) 
  • বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্য বনফুল যখন প্রকাশিত হয়, তখন তাঁর বয়স: (গ-২০০৬-০৭) 
  • কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘সােনার তরী’ কবিতাটি যে স্থানে রচনা করেন তার নাম- (গ-২০০৬-০৭) 
  • ২০০৬ সনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কততম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়? (গ-২০০৬-০৭) 
  • শেষের কবিতা’ একটি: (গ-২০০৪-০৫)

বিলাসী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

MCQ প্রশ্নোত্তর:

১। কী কাটতে কাটতে বর্ষা এল?

(ক) ধান

(খ) আখ

(গ) পাট

(ঘ) ভুট্টা

২। ‘সোনার তরী’ কবিতায় কোথায় মেঘ গর্জন করার কথা বলা হয়েছে?

(ক) পূর্বাকাশে

(খ) পশ্চিমাকাশে

(গ) আকাশ জুড়ে

(ঘ) হিংস্র হয়ে

৩। ‘সোনার তরী’ কবিতায় মূলত কয়টি চরিত্রের সন্ধান মেলে?

(ক) ৫টি

(খ) ৩টি

(গ) ২টি

(ঘ) ৪টি

৪। ‘ভরসা’ শব্দটির অর্থ কী?

(ক) আশা

(খ) নিরাশা

(গ) বিশ্বাস

(ঘ) মাঝি

৫। কূল শব্দের অর্থ কোনটি?

(ক) ঢেউ

(খ) কিনারা

(গ) বংশ

(ঘ) স্রোত

৬। কী কাটা হল সারা?

(ক) পাট

(খ) ধান

(গ) ঘাস

(ঘ) আখ

৭। ‘সোনার তরী’ কবিতায় কূলে একা কে বসে আছে?

(ক) কৃষক

(খ) শ্রমিক

(গ) জমিদার

(ঘ) ভিক্ষুক

৮। ‘থরে বিথরে’ শব্দটির অর্থ কী?

(ক) ব্যবচ্ছেদ করে

(খ) সুবিন্যস্ত করে

(গ) এলোমেলো করে

(ঘ) বিচ্ছিন্ন করে

৯। সোনার ধান নিয়ে তরী কোথায় চলে যায়?

(ক) নদীতে

(খ) সাগরে

(গ) মোহনায়

(ঘ) অজানা দেশে

১০। ‘ক্ষুরধারা’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে?

(ক) তীব্র ভ্রুকুটি

(খ) ক্ষুর দ্বারা কোনো কিছু কাটা

(গ) ক্ষুরের মতো ধারালো প্রবাহ বা স্রোত

(ঘ) নদীর যে বাঁকটি ক্ষুরের মতো

১১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম কী?

(ক) বীরবল

(খ) যাযাবর

(গ) জগৎশেঠ

(ঘ) ভানুসিংহ

১২। ‘তরুছায়ামসী-মাখা’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে?

(ক) গাছপালার ছায়ায় কালচে রং মাখা

(খ) গাছ হতে প্রস্তুতকৃত কলমের কালি

(গ) গাছগুলোতে মেঘের যে ছায়া পড়েছে

(ঘ) নদীতীরের অনিদ্য সুন্দর বৃক্ষরাজি

১৩। ‘সোনার তরী’ কবিতায় ‘শূন্য নদীর তীরে’ কে একা পড়ে থাকল?

(ক) কৃষক

(খ) মাঝি

(গ) তরী

(ঘ) ছোট খেত

১৪। কোন পঙক্তিতে মাঝির অপরিচয়ের নির্বিকারত্ব ও নিরাসক্তি ফুটে উঠেছে?

(ক) ভরা পালে চলে যায়

(খ) কোনো দিকে নাহি চায়

(গ) দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে

(ঘ) গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে

১৫। সোনার তরীতে কেন কৃষকের ঠাঁই হলো না?

(ক) তরীটা ছিল অত্যন্ত ছোট

(খ) মাঝিটি ছিল খুব নিষ্ঠুর

(গ) কৃষকের সোনার ধারে তরীটি ভরে গিয়েছিল

(ঘ) সোনার তরীতে স্থান করে নেয়ার ব্যাপারে কৃষক উদাসীন ছিল

১৬। মানবজীবনের এক দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে কোন শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে?

(ক) ক্ষুরধারা

(খ) খরপরশা

(গ) মেঘ

(ঘ) কূল

১৭। কৃষক কিংবা কবির নি:সঙ্গ অবস্থা প্রকাশ পাচ্ছে কোনটির মাধ্যমে?

(ক) আমি

(খ) আমি একেলা

(গ) খরপরা

(ঘ) থরে বিথরে

১৮। মাঝি মূলেতে তরী ভিড়ালো কেন?

(ক) ফসলের জন্য

(খ) কবির জন্য

(গ) বৃষ্টি নামানোর জন্য

(ঘ) স্রোতের জন্য

১৯। কৃষক সোনার ফসল মহাকালের উদ্দেশ্যে পাঠাতে চায় –

(ক) কর্মের মধ্যে বেঁচে থাকার জন্য

(খ) মহাকালের শূন্যতায় বিলীন হওয়ার জন্য

(গ) মাঝিকে ভালো লাগার জন্য

(ঘ) ইহকালে শান্তিতে বসবাসের জন্য

২০। নির্বিকার মাঝিকে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কৃষক চেষ্টা করেছেন-

(ক) তার সাথে পরিচয় পাওয়ার জন্য

(খ) তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য

(গ) তার সোনার ফসল তুলে নেয়ার জন্য

(ঘ) তাকে নদী পার করার জন্য

২১। ‘ভারা ভারা’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

(ক) সারি সারি

(খ) রাশি রাশি

(গ) স্তরে স্তরে

(ঘ) বোঝা বোঝা

২২। কোন সময়ে ক্ষেতসমেত নদীর তীর নদীর গ্রাসে হারিয়ে যায়?

(ক) আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে

(খ) আশ্বিন-কার্তিক মাসে

(গ) বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে

(ঘ) কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে

২৩। ‘সোনার তরী’ কবিতাটির নামকরণ ‘নিষ্ঠুর মহাকাল’ রাখা যেত নিচের কোন যুক্তিতে?

(ক) চরিত্রের ভিত্তিতে

(খ) বিষয়ের ভিত্তিতে

(গ) অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের ভিত্তিতে

(ঘ) দার্শনিকতার ভিত্তিতে

২৪। ফকির লালন শাহ অনেক পূর্বে মৃত্যুবরণ করেছেন কিন্তু তাঁর গানগুলো যুগ যুগ ধরে আজও মানুষের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়ে চলেছে। এ বিষয়টি তোমার পঠিত কোন কবিতাকে সমর্থন করে?

(ক) জীবন বন্দনা

(খ) তাহারেই পড়ে মনে

(গ) পাঞ্জেরী

(ঘ) সোনার তরী

২৬। মানুষের জীবন কেমন?

(ক) দীর্ঘস্থায়ী

(খ) চিরস্থায়ী

(গ) ক্ষণস্থায়ী

(ঘ) অমর

২৭। ‘বাঁকা জল’ কিসের প্রতীক?

(ক) ধাবমান জলের

(খ) কালস্রোতের

(গ) কালো জলের

(ঘ) ভরা জলের

২৮। ‘নদী’ শব্দটির প্রতিশব্দ হিসেবে কোনটি সমর্থনযোগ্য?

(ক) নেত্র

(খ) সলিল

(গ) সৈকত

(ঘ) তটিনী

২৯। ফসল উৎপাদনকারী কৃষক বলতে কবি কাকে কল্পনা করেছেন?

(ক) নিজেকে

(খ) মাঝিকে

(গ) নেতাকে

(ঘ) তরুণকে

৩০। ‘সোনার তরী’ কবিতায় কবি সৃষ্টিকর্মকে কী হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে?

(ক) ধান-সম্পদ

(খ) জমিজমা

(গ) ফসল

(ঘ) তরী

৩১। ‘সোনার তরী’ কবিতার সর্বশেষ স্তবকের ‘শূন্য’ শব্দটির প্রয়োগে কী স্পষ্ট হয়ে ওঠে?

(ক) এটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত

(খ) এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত

(গ) এটি সুনির্দিষ্ট ছন্দহীন কবিতা

(ঘ) এটি একটি গভীর চতুর্দশপদী কবিতা

৩২। ‘সোনার তরী’র মাঝি অতৃপ্তির বেদনা নিয়ে কিসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে?

(ক) আবার মাঝি আসবে বলে

(খ) মহাকালের শূন্যতায় বিলীন হওয়ার জন্য

(গ) মহাকাল তাকে একদিন গ্রহণ করবে বলে

(ঘ) বৃষ্টি আসলে আবার সোনার ফসল ফলাবে বলে

৩৩। ‘সোনার তরী’ কবিতায় ‘সোনার ধান’ আসলে কী?

(ক) সোনার তরী

(খ) মানুষের সৃষ্টিকর্ম

(গ) মূল্যবান সম্পদ

(ঘ) মহাকালের প্রতীক

৩৪। ‘খরপরশা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ-

(ক) খরস্রোত

(খ) ধারালো বর্শ

(গ) তীব্র গতি

(ঘ) তীক্ষ্ম তীর

৩৫। ‘সোনার তরী’ কবিতার পংক্তিসংখ্যা-

(ক) ৪০

(খ) ৪২

(গ) ৪৬

(ঘ) ৪৮

৩৬। রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’ কবিতায় তরীটি কিসে বোঝাই?

(ক) সোনার ঘাসে

(খ) সোনার হারে

(গ) সোনার ধানে

(ঘ) সোনার মোহরে

৩৭। ‘সোনার তরী’র নদীটির পরপারে দেখা যায়-

(ক) নৌকা

(খ) ধানক্ষেত

(গ) গাছ

(ঘ) জল

৩৮। “যেয়ো যেথা যেতে চাও, যারে খুশি তারে দাও”- চরণ দুটি কার?

(ক) প্রমথ চৌধুরী

(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(গ) অমিয় চক্রবর্তী

(ঘ) কাজী নজরুল ইসলাম

৩৯। ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই ছোট সে তরী- সোনার ধানে গিয়েছে ভরি-

(ক) আমার

(খ) আমারই

(গ) তোমারি

(ঘ) মোদের

৪০। ‘রাশি রাশি ভারা ভারা’Ñশব্দের এরূপ ব্যবহারকে বলে?

(ক) পুনরুক্তি

(খ) শব্দের দ্বিরুক্তি

(গ) ক্রিয়া বিশেষণ

(ঘ) অলংকার

৪১। ‘সেনার তরী’ কবিতায় ‘সোনার ধান’ বলতে বোঝানো হয়েছে-

(ক) স্বর্ণবর্ণের ধান

(খ) দামী ধান

(গ) জীবনের সৃষ্টিকর্ম

(ঘ) জীবনের আনন্দ

৪২। ‘সেনার তরী’ কবিতা কোন ছন্দে রচিত?

(ক) স্বরবৃত্ত

(খ) মাত্রাবৃত্ত

(গ) অক্ষরবৃত্ত

(ঘ) স্বরমাত্রিক

৪৩। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘সোনার তরী’ কবিতাটি যে স্থানে রচনা করেন তার নাম:

(ক) শান্তিনিকেতন

(খ) শিলাইদহ

(গ) জোড়াসাঁকো

(ঘ) খুলনা

৪৪। রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’ কী জাতীয় কবিতা?

(ক) শোকগাথা

(খ) রূপক কবিতা

(গ) ব্যঙ্গ কবিতা

(ঘ) সনেট

৪৫। “শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি” কে পড়ে রয়েছে?

(ক) কবি

(খ) কৃষক

(গ) কামলা

(ঘ) নৌকার মাঝি

৪৬। ‘সোনার তরী’ কবিতাটির নদীটি?

(ক) বৃহৎ

(খ) ক্ষুদ্র

(গ) শান্ত

(ঘ) খরস্রোতা

৪৭।  “গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে”Ñ পরের পংক্তি কোনটি?

(ক) দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে

(খ) ঢেউগলি নিরূপায় ভাঙে দুধারে-

(গ) এ পারেতে ছোট ক্ষেত, আমি একেলা

(ঘ) ভরা পালে চলে যায়, কোনো দিকে নাহি চায়

(ঙ) গ্রামখানি মেঘে ঢাকা প্রভাত বেলা

৪৮। ‘দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে’ পঙক্তিটি কোন্ কবিতার?

(ক) পাঞ্জেবী

(খ) আঠারো বছর বয়স

(গ) সোনার তরী

(ঘ) কবর

৪৯। “একখানি ছোট ক্ষেত, আমি একেলা” পরবর্তী পঙক্তি কোনটি?

 (ক) গান গেয়ে ত বেয়ে কে আসে পারে

(খ) এ পারেতে ছোট ক্ষেত্রে, আমি একেলা

(গ) গ্রামখানি মেঘে ঢাকা প্রভাত বেলা

(ঘ) চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা

উত্তর মালা
১০
১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০
২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০
৩১ ৩২ ৩৩ ৩৪ ৩৫ ৩৬ ৩৭ ৩৮ ৩৯ ৪০
৪১ ৪২ ৪৩ ৪৪ ৪৫ ৪৬ ৪৭ ৪৮ ৪৯

HSC বাংলা সাহিত্য গল্প,কবিতা,উপন্যাস

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি-
নংগল্প + কবিতার নামসাহিত্যিকদের নামলিঙ্ক
০১আমার পথকাজী নজরুল ইসলামClick
০২বিড়ালবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়Click
০৩চাষার দুক্ষুবেগম রোকেয়া সাখাওয়াতClick
০৪বায়ান্নর দিনগুলোশেখ মুজিবুর রহমানClick
০৫অপরিচিতারবীন্দ্রনাথ ঠাকুরClick
০৬মাসি-পিসিমানিক বন্দ্যোপাধ্যায়Click
০৭জীবন ও বৃক্ষমোতাহের হোসেন চৌধুরীClick
০৮জাদুঘরে কেন যাবআনিসুজ্জামানClick
০৯নেকলেসগী দ্য মোপাসাঁ/ পূর্ণেন্দু দস্তিদারClick
১০রেইনকোটআখতারুজ্জামান ইলিয়াসClick
১১আহ্বানবিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়Click
১২মহাজাগতিক কিউরেটরমুহম্মদ জাফর ইকবালClick
১৩সাম্যবাদীকাজী নজরুল ইসলামClick
১৪ঐকতানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরClick
১৫বিভীষণের প্রতি মেঘনাদমাইকেল মধূসুদন দত্তClick
১৬নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়সৈয়দ শামসুল হকClick
১৭তাহারেই পড়ে মনেসুফিয়া কামালClick
১৮ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯শামসুর রাহমানClick
১৯রক্তে আমার অনাদি অস্থি দিলওয়ার খানClick
২০ সেই অস্ত্রআহসান হাবিবClick
২১আঠারো বছর বয়সসুকান্ত ভট্টাচার্যClick
২২লোক লোকান্তরমীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদClick
২৩এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে জীবনানন্দ দাশClick
২৪আমি কিংবদন্তির কথা বলছিআবু জাফর ওবায়দুল্লাহClick
২৫লালসালুসৈয়দ ওয়ালীউল্লাহClick
২৬সিরাজউদ্দৌলাসিকান্দার আবু জাফরClick
২৭বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদনবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়Click
২৮বিদ্রােহীকাজী নজরুল ইসলাম Click
২৯গৃহরোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন Click
৩০মানব কল্যাণ-আবুল ফজলClick
৩১বিলাসীশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়Click
৩২সোনার তরীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরClick

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *