আমি কিংবদন্তির কথা বলছি – আবু জাফর ওবায়দ্ল্লুাহ
- লেখক পরিচিতি : নাম আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।
- জন্মপরিচয় জন্মসাল : ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই ফেব্রুয়ারি।
- জন্মস্থান : বরিশাল শহর।
- পিতৃ পরিচয় পিতার নাম : আবদুল জব্বার খান।
- শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : ম্যাট্রিক (১৯৪৮), ময়মনসিংহ জিলা স্কুল।
- উচ্চ মাধ্যমিক : ইন্টারমিডিয়েট (১৯৫০), ঢাকা কলেজ।
- উচ্চতর শিক্ষা : বি এ অনার্স (১৯৫৩), এম এ (১৯৫৪), ইংরেজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
- গবেষণা : “Later Poems of Years ; The Indefluence of Upanishads”
- কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাজ্য।
- ডিপ্লোমা : উন্নয়ন অর্থনীতি, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।
পেশা/কর্মজীবন লেকচারার : ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সচিব: বাংলাদেশের সচিবালয় ; মন্ত্রী: কৃষি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার (১৯৮২) ; রাষ্ট্রদূত: ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র, মহাপরিচালক : ঋঅঙ, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল, চেয়ারম্যান : বাংলাদেশ সেন্টার ফর এডভান্সড স্টাটিজ ; ফেলো : হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এবং জন এফ কেনেডি স্কুল অব গর্ভনমেন্ট।
সাহিত্যকর্ম কাব্যগ্রন্থ : ‘সাত নদীর হার’, কখনো রং কখনো সুর’, ‘কমলের চোখ’, ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ ‘আমার সময়’, ‘সহিষ্ণু প্রতীক্ষা’, ‘বৃষ্টি ও সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা।’ ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘মসৃণ কৃষ্ণগোলাপ ইত্যাদি।
একুশে পদক, বাংলা একডেমী পুরস্কার (১৯৭৯) ইত্যাদি।
জীবনাবসান মৃত্যু তারিখ : ১৯ মার্চ, ২০০১ খ্রিস্টাব্দ।
উৎস পরিচিতি :
কবিতাটি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতা।
মূলবাণী/মর্মবাণী/উপজীব্য বিষয়: বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস
কবি সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
⇒ আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত বহেরচর-ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ৮ই ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।
⇒ তিনি ইংরেজি সাহিত্যে বিএ(সম্মান)সহ এমএ পাস করেন এবং কিছুদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
⇒ পরে সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন এবং সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করেন।
⇒ তিনি ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ সরকারের কৃষি ও পানিসম্পদ-মন্ত্রী এবং ১৯৮৪ তে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
⇒ তাঁর কবিতার বিষয়ে বিশেষভাবে প্রাধান্য পেয়েছে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ।
⇒ রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন এবং এই বিষয়ক সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।
শব্দার্থ ও টীকা:
- কিংবদন্তি – জনশ্রুতি।
- পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত – মানুষের ওপর অত্যাচারের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে এখানে।
- শ্বাপদ – হিংস্র মাংসাশী শিকারি জন্তু।
- উনুনের আগুনে আলোকিত একটি উজ্জ্বল জানালা – আগুনে সবকিছু শুচি হয়ে ওঠে।
- বিচলিত হে – আপনজনের উৎকণ্ঠা।
- সূর্যকে হৃৎপিন্ডে ধরে রাখা – সূর্য সকল শক্তির উৎস।
কবিতার ছন্দ বিশ্লেষণ:
- ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓
- আমি উচ্চারিত সত্যের মতো (১১)
- ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓
- স্বপ্নের কথা বলছি (৭)
- ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓
- উনোনের আগুনে আলোকিত (১১)
- ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓
- একটি উজ্জ্বল জানালার কথা বলছি (১৩)
- ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓
- আমি আমার মায়ের কথা বলছি (১২)
- ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓
- তিনি বলতেন / প্রবহমান নদী (৫ + ৭)
- ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓
- যে সাঁতার জানে না / তাকেও ভাসিয়ে রাখে (৭ + ৮)
বিশ্লেষণ :
‘আমি কিংবদন্তি কথা বলছি’ কবিতাটি পাঠ করে দেখা যায়, এটি গদ্য ছন্দের বৈশিষ্ট্য ধারণ করেছে। তাই এটি গদ্য ছন্দের কবিতা। এ কবিতায় কবি বলিষ্ঠ সতেজ কথামালার মাধ্যমে চিত্রকল্প তৈরি করে পাঠক হৃদয়ে সংবেদন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। আঙ্গিক ও ছন্দ বিচারে দেখা যায় কবি অসমমাত্রার পংক্তি রচনা করেছেন। কিন্তু একই তাল ও সুরের ব্যঞ্জনায় এর শ্রুতিমাধুর্য কোথাও ক্ষুণ হয়নি। পাঠক ইন্দ্রিয়ের গভীরতর স্থান মর্মে উপলদ্ধি করে কবিতাটি পাঠ করে। এটি ভাবের ছন্দ। এ কবিতার কবি পাঠক হৃদয়ে আবেগের ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ লাইন:
- ⇒ তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল।
- ⇒ সশস্ত্র সুন্দরের অনিবার্য অভ্যুত্থান কবিতা।
- ⇒ সুপুরুষ ভালোবাসার সুকণ্ঠ সংগীত কবিতা।
- ⇒ জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি মুক্ত শব্দ কবিতা।
- ⇒ জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কবিতা।
- ⇒ কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কবিতা।
- ⇒ যে কবিতা শুনতে জানে না
- ⇒ সে আজ ক্রীতদাস থেকে যাবে।
কবিতার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- কবিতার মোট পঙ্ক্তি সংখ্যা : ৬৮ লাইন
- আমি কিংবদন্তির কথা বলছি : ২ বার
- আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি : ৩ বার
- তাঁর পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল : ২ বার
- আমি আমার মায়ের কথা বলছি : ২ বার
- আমি আমার ভালোবাসার কথা বলছি : ২ বার
- যে কবিতা শুনতে জানে না : ৯ বার
- রক্ত জবা : ৩ বার
- কবি ও কবিতার কথা : ২ বার
কবিতার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য:
- বাঙালির অতীত ইতিহাস : “তাঁর পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিলো।”
- মুক্তির স্বপ্ন : “উনুনের আগুনে আলোকিত একটি উজ্জ্বল জানালার কথা বলছি।
- কবিতার প্রেরণা : “যে কবিতা শুনতে জানে না সে সূর্যকে হৃৎপিন্ডে ধরে রাখতে পারে না।”
- অপরাজেয় বাঙালি জাতিসত্তা : “আমি কিংবদন্তির কথা বলছি।’
- অপরাজেয় বাঙালী : “আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।….তাঁর পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল।
- অনবার্ণ প্রেরণা: “যে কবিতা শুনতে জানে না……..আমি আমার ভালোবাসার কথা বলছি।”
- সচেতন ও দৈন্যতায়পূর্ণ হৃদয়: “আমি আমার মায়ের কথা বলছি….যে সাঁতার জানে না তাকেও ভাসিয়ে রাখে।”
- নির্ভীক আদর্শ: “যুদ্ধ আসে ভালোবেসে….আমি আমার ভাইয়ের কথা বলছি।”
- পূর্বপুরুষের সাহসী অনিন্দ্য সংগ্রাম: “আমরা কি তাঁর মতো কবিতার কথা বলতে পারবো, আমার কি তাঁর মতো স্বাধীনতার কথা বলতে পারবো।”
সারমর্ম:
আলোচ্য কবিতাটিতে উচ্চারিত ঐতিহ্যসচেতন শিকড় সন্ধানী মানুষের সর্বাঙ্গীণ মুক্তি দৃপ্ত ঘোষণা। প্রকৃতপক্ষে, রচনার প্রেক্ষাপটে আছে বাঙালি হাজার বছরের ইতিহাস ; এই জাতির সংগ্রাম, বিজয় ও মানবিক উদ্ভাসনের অনিন্দ্য অনুষঙ্গসমূহ। তিনি এই কবিতায় পৌন:পুনিকভাবে মানবমুক্তির আকাঙ্খায় সোচ্চার হন। ‘কবিতা’ ও সত্যের অভেদকল্পনার মধ্য দিয়ে কবি নিয়ে আসেন মায়ের কথা, বোনের কথা, ভাইয়ের কথা, পরিবারের কথা, কবি এ ও জানেন মুক্তির পূর্বশর্ত যুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধে পরিবার থেকে দূরে সরে যেতে হয়। ভালোবাসার জন্য, তাদের মুক্ত করবার জন্যই তাদের ছেড়ে যেতে হয়। এই অমোঘ সত্য কবি জেনেছেন আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস থেকে।
পাঠ বিশ্লেষণ:
“তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল।
তাঁর পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল।”
আমাদের পূর্বপুরুষ ছিলেন কৃষি সভ্যতার ধারক এবং বাহক। প্রাচীণ বাংলায় যারা বাস করতেন, তারা ছিলেন কৃষক বা কৃষি-শ্রমিক বা ক্রীতদাস। তাই তাদের পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল, যা ক্রীতদাসেরই চিহ্ন।
“অরণ্য এবং শ্বাপদের কথা বলতেন,
পতিত জমি আবাদের কথা বলতেন”
পূর্বপুরুষরা বিশাল পাহাড় অতিক্রম করে এসেছিলেন। গভীর অরণ্য ছিল তখন, আর ছিল হিংস্র প্রাণীর অবাধ বিচরণ। তাদের সাথে লড়াই করেই পতিত জমি আবাদ করতেন। বড়ই কঠিন ছিল সেই জীবন।
“জিহŸায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কবিতা
কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কবিতা।”
কবিতা সব সময়ই সত্য ও সুন্দরের কথা বলে। তাই জিহŸায় যে সত্য নির্বিঘেœ ও নির্ভয়ে উচ্চারিত হয় তা-ই কবিতা। কঠোর পরিশ্রমে জমি কর্ষণ করে যে শস্যদানা ছড়ানো হয় তার প্রতিটি দানাই কবিতা। কেননা সেই শস্যদানা ফেটে অঙ্কুর বেরিয়ে আসে, সবুজ গাছ হয়, ফুল ফোটে, তারপর সোনালি ফসল উৎপাদিত হয়-এই পুরো প্রক্রিয়াটাই কবিতা।
“যে কবিতা শুনতে জানে না
সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে।”
কবিতা মৌলিক চিন্তা ও সৃজনশীলতার জন্ম দেয়। কবিতা মানুষকে অধিকার আদায়ের কথা শোনায়, স্বাধীনতায় উজ্জীবিত করে, সচেতনতার জন্ম দেয়। কাজেই যে কবিতা শুনতে জানে না সে কোনদিন সচেতন ও উদ্যমী হবে না, আত্মনির্ভরশীল হওয়ার কথা ভাববে না। ফলে সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে। স্বাধীন কৃষক হতে পারবে না।
তিনি বলতেন প্রবহমান নদী
যে সাতাঁর জানে না তাকেও ভাসিয়ে রাখে।
কবিতা নতুন জীবনের সন্ধান দেয়। সে জীবন সমস্ত সমস্যা জটিলতা, ঝড়-ঝঞ্জা পাড়ি দিতে পারে। যে সাঁতার জানে না তাকে প্রবহমান নদী যেমন ভাসিয়ে রাখে, তেমনি কবিতাও সমস্যাক্রান্ত মানুষকে বেঁচে থাকার পথ দেখায়, তাকে জীবনোম্মুখ হওয়ার জন্যে উদ্বুদ্ধ করে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে পারে না।
কবিতা হচ্ছে শব্দের কারুকার্য, ভাষার বিন্যাস। যে ভাষা মায়ের ভাষা থেকে আমরা শুনতে পাই, মায়ের কাছ থেকেই শিখি। মায়ের কোলে শুয়ে শুয়ে নানা গল্পকথা শুনে আমরা ভাষাকেও মায়ের মতো ভালোবাসতে শিখি।
আমি বিচলিত স্নেহের কথা বলছি
গর্ভবতী বোনের মৃত্যুর কথা বলছি।
পরিশ্রমের সাথে কষ্ট থাকে, পাশাপাশি আনন্দও থাকে। আবার কখনো অভাবনীয় দুঃখ-যন্ত্রণাও আসে। জীবনে যেমন : ভালোবাসা আছে, তেমনি আছে দুঃসহ শোক। গর্ভবতী বোনের আকস্মিক মৃত্যু হাহাকার তোলে অন্তর জুড়ে। কিন্তু কিছুই করার উপায় নেই। ভাগ্যের ওপর দোষ চাপিয়ে সান্তনা খোঁজে মানুষ।
যুদ্ধ আসে ভালোবেসে
মায়ের ছেলেরা চলে যায়।
মাতৃভূমিকে ভালোবেসে মায়ের ছেলেরা যুদ্ধে চলে যায়। ছেলেরা তাদের মাকে ভালোবাসে, মা-ও গভীরভাবে ভালোবাসে ছেলেদের। কিন্তু মা মরে গেলে ছেলেরা ভালোবাসবে কাকে, ভালো থাকবে কী করে! তাই মায়ের মর্যাদা রক্ষা করতে, মাকে বাঁচাতে ছেলে যুদ্ধে যায়। কেউ ফিরে আসে, কেউ আসে না।
আমরা কি তাঁর মতো কবিতার কথা বলতে পারব
আমরা কি তাঁর মতো স্বাধীনতার কথা বলতে পারব।
আমাদের পূর্বপুরুষেরা কবিতার কথা বলতে পারতেন, কেননা কবিতাই ছিল তাঁদের জীবন। তাঁরা স্বাধীনতার কথা বলতে পারতেন, কেননা স্বাধীনতার জন্যই তাঁরা অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছেন বারবার। আমরাও কবিতার সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত জীবনকে ভালোবেসে স্বাধীনভাবে জীবন বিকাশের মাধ্যমে সমৃদ্ধির কথা বলতে সচেষ্ট হবো।
গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (জ্ঞানমূলক):
- ১. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটি সংগৃহীত হয়েছে-‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে।
- ২. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতা – আমি কিংবদন্তির কথা বলছি।
- ৩. কবিতাটিতে উচ্চারিত হয়েছে- ঐতিহ্যসচেতন শিকড়সন্ধানী মানুষের সর্বাঙ্গীণ মুক্তির দৃপ্ত ঘোষণা।
- ৪. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার প্রেক্ষাপট – বাঙালি সংস্কৃতির হাজার বছরের ইতিহাস, সংগ্রাম এবং বিজয়।
- ৫. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার প্রেক্ষাপট – বাঙালি সংস্কৃতির হাজার বছরের ইতিহাস, সংগ্রাম এবং বিজয়।
- ৬. কবি এ কবিতায় মানবমুক্তির আকাক্সক্ষায় সোচ্চার হয়েছেন-পৌন:পুনিকভাবে।
- ৭. কবির একান্ত প্রত্যাশিত মুক্তির প্রতীক হয়ে উপস্থাপিত হয়েছে একটি বিশেষ শব্দ – কবিতা।
- ৮. কবি তার বক্তব্যকে এগিয়ে নিয়ে চলেন- তার পূর্বপুরুষের সাহসী ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে।
- ৯. কবিতায় কবি যে লড়াই করে টিকে থাকার ইতিহাস বর্ণনা করেছেন- তা বাংলার ভূমিজীবী অনার্য ক্রীতদাসের।
- ১০. কবির মতে, মুক্তির মুক্তিশর্ত – যুদ্ধ।
- ১১. ‘যুদ্ধে পরিবার থেকে দূরে সরে যেতে হয়’ এই অমোঘ সত্য কবি জেনেছেন- আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস থেকে।
- ১২. এ কবিতাটির রসোপলদ্ধির অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো – এর আঙ্গিক বিবেচনা।
- ১৩. এ কবিতার যে বিষয়টি পাঠককে নাড়া দেয়া তা হলো- একই ধাঁচের বাক্যের বারংবার ব্যবহার।
- ১৪. ‘যে কবিতা শুনতে জানে না /সে – কাঠামোর পংক্তিমালার ধারাবাহিক উপস্থাপনের উদ্দেশ্য – কবিতা আর মুক্তির আবেগকে একত্রে শিল্পরূপ প্রদান করা।
- ১৫. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় বলা হয়েছে – কবির পূর্বপুরুষের ইতিহাসের কথা।
- ১৬. কবির পূর্বপুরুষের করতেল ছিল-পলিমাটির সৌরভ
- ১৭. কবির পূর্বপুরুষের পিঠে ছিল-রক্ত জবার মত ক্ষত।
- ১৮. কবি ও কবিতার কথা বলতেন-কবির পূর্বপুরুষ।
- ১৯. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবির পূর্বপুরুষ বলতেন এমন বিষয়ের উল্লেখ আছে-৬টি (অতিক্রান্ত পাহাড়, অরণ্য, শ্বাপদ, পতিত জমি, কবি ও কবিতা)।
- ২০. ‘জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কবিতা’-এর পরের চরণ- কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কবিতা।
- ২১. ‘জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি মুক্ত শব্দ কবিতা’-এর পরের চরণ-রক্তজবার মতো প্রতিরোধের উচ্চারণ কবিতা।
- ২২. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি উচ্চারিত সত্যের মতো বলেছেন- স্বপ্নের কথা।
- ২৩. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় উজ্জ্বল জানালা আলোকিত ছিল- উনোনের আগুনে।
- ২৪. ‘তিনি বলতেন প্রবাহমান নদী/যে সাতার জানে না তাকেও ভাসিয়ে রাখে’- এখানে ‘তিনি’ বলতে বোঝানো হয়েছে- কবির মাকে।
- ২৫. ‘আমি—–স্নেহের কথা বলছি’-শূন্যস্থানে হবে- বিচলিত।
- ২৬. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি মৃত্যুর কথা বলেছেন- তার গর্ভবতী বোনের মৃত্যুর কথা।
- ২৭. ভালবাসা দিলে মরে যায় – মা।
- ২৮. কবির মতে যুদ্ধ আসে – ভালবেসে।
- ২৯. কবির পূর্বপুরুষ ছিলেন – ক্রীতদাস।
- ৩০. কবির পূর্বপুরুষের পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল কারণ- তিনি ক্রীতদাস ছিলেন।
- ৩১. শস্যের সম্ভার তাকে সমৃদ্ধ করবে যে- কর্ষণ করে।
- ৩২. প্রবহমান নদী তাকে পুরস্কৃত করবে যে- যে মৎস পালন করে।
- ৩৩. ‘জননীর আর্শীবাদ তাকে দীর্ঘায়ু করবে যে – গভীর পরিচর্যা করে।
- ৩৪. ইস্পাতের তরবারি তাকে সশস্ত্র করবে যে- লৌহখন্ড কে প্রজ্বলিত করে।
- ৩৫. সশস্ত্র সুন্দরের অনিবার্য অভ্যুত্থান – কবিতা।
- ৩৬. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটি রচিত- গদ্যছন্দে।
- ৩৭. প্রচলিত কবিতার ছন্দের বাইরে গিয়ে প্রাকৃতিক তথা স্বাভাবিক ছন্দকে বলে – গদ্যছন্দে।
- ৩৮. নিবিড় পরিশ্রমে কৃষকেরা ফলানো শস্য হচ্ছে – একান্তই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য একটি অনুষঙ্গ।
- ৩৯. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি এবং কবিতার কথা বলেছেন-কবির পূর্বপুরুষ এবং কবি।
- প্রথম লাইন : “আমি আমার পূর্ব পুরুষের কথা বলছি।”
- শেষ লাইন : “আমরা কি তাঁর মতো স্বাধীনতার কথা বলতে পারবো।”
নং | বিষয় | লেখক |
১ | আমার পথ | কাজী নজরুল ইসলাম |
২ | বিড়াল | বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
৩ | চাষার দুক্ষু | বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত |
৪ | সাম্যবাদী | কাজী নজরুল ইসলাম |
৫ | ঐকতান | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
৬ | বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ | মাইকেল মধূসুদন দত্ত |
৭ | বায়ান্নর দিনগুলো | শেখ মুজিবুর রহমান |
৮ | অপরিচিতা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
৯ | মাসি-পিসি | মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় |
১০ | জীবন ও বৃক্ষ | মোতাহের হোসেন চৌধুরী |