বিড়াল
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের
উৎস পরিচিতি
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রসাত্মক ও ব্যঙ্গধর্মী রচনার সংলকন ‘কমলাকান্তের দপ্তর’। তিন অংশে বিভক্ত এই গ্রন্থটিতে যে কটি প্রবন্ধ আছে, তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য রচনা ‘বিড়াল’।
মূলবাণী/মর্মবাণী/উপজীব্য বিষয় : হাস্যরসাত্মক ও ব্যঙ্গধর্মী আলোচনার মাধ্যমে সমাজের নিগূঢ় বিষয় উপস্থাপন
শব্দার্থ ও টীকা
- চারপায় – টুল বা চৌকি।
- প্রেতবৎ – প্রেতের মতো।
- ওয়েলিংটন – বীর যোদ্ধা।
- ডিউক – ইউরোপীয় সমাজের বনেদি বা অভিজাত ব্যক্তি।
- মার্জার – বিড়াল
- ব্যূহ রচনা – প্রতিরোধ বেষ্টনী তৈরি করা।
- প্রকটিত – তীব্রভাবে প্রকাশিত।
- ষষ্টি – লাঠি।
- দিব্যকর্ণ – ঐশ্বরিকভাবে শ্রবণ করা।
- ঠেঙ্গালাঠি – প্রহার করার লাঠি।
- শিরোমণি – সমাজপতি।
- ন্যায়ালংকার – ন্যায়শাস্ত্রে পন্ডিত।
- ভার্যা – স্ত্রী।
- সতরঞ্চ খেলা – পাশা খেলা। দাবা খেলা।
- লাঙ্গুল – লেজ। পুচ্ছ।
- সোশিয়ালিস্টিক – সমাজতান্ত্রিক।
- নৈয়ায়িক – ন্যায়শাস্ত্রে পন্ডিত ব্যক্তি।
- কস্মিনকালে – কোনো সময়ে।
- মার্জারী মহাশয়া – স্ত্রী বিড়াল।
- জলযোগ – হালকা খাবার। টিফিন।
- সরিষা ভোর – ক্ষুদ্র অর্থে (উপমা)।
- পতিত আত্মা – বিপদগ্রস্ত বা দুর্দশাগ্রস্ত আত্মা।
জটিল শব্দসমূহের অর্থ ও বানান অনুশীলন
- শয়নগৃহ – শোয়ার ঘর।
- লোচন – চোখ।
- পাষাণবৎ – পাথরের মতো।
- এক্ষণে – এখন।
- উদরসাৎ – খেয়ে ফেলা।
- অভিপ্রায় – ইচ্ছা।
- সকাতরচিত্তে – কাতর মনে।
- ক্ষুৎপিপাসা – ক্ষুধা ও পিপাসা।
- আহারিত – সংগ্রহ করা হয়েছে এমন।
- মূলীভূত – আসল, গোড়ার।
‘বিড়াল’ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ লাইন
- আমাদের কালো চামড়া দেখিয়া ঘৃণা করিও না।
- খাইতে দাও নহিলে চুরি করিব।
- অনাহারে মরিয়া যাইবার জন্য এ পৃথিবীতে কেহ আসে নাই।”
- সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ ধনীর ধন বৃদ্ধি।
- সামাজিক ধনবৃদ্ধি ব্যতীত সমাজের উন্নতি নাই।
- আমি যদি নেপোলিয়ন হইতাম, তবে ওয়াটারলু জিতিতে পারিতাম কি না।
- ওয়েলিংটন হঠাৎ বিড়ালত্ব প্রাপ্ত হইয়া, আমার নিকট আফিং ভিক্ষা করিতে আসিয়াছে।
- আমি তখন ওয়াটারলু মাঠে ব্যূহ-রচনায় ব্যস্ত, অত দেখি নাই।
- কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায় কই।
- দুধ মঙ্গলার, দুহিয়াছে প্রসন্ন।
- মনুষ্যকুলে কুলাঙ্গার স্বরূপ পরিচিত হইবে, ইহা বাঞ্ছনীয় নহে।
- অনেক অনুসন্ধানে এক ভগ্ন যষ্টি আবিষ্কৃত করিয়া সগর্বে মার্জারীর প্রতি ধাবমান হইলাম।
- এ সংসারের ক্ষীর, সর, দুগ্ধ, দধি, মৎস্য, মাংস সকলই তোমরা খাইবে, আমরা কিছু পাইব না কেন?
- আমরা খাইলেই তোমরা কেন শাস্ত্রানুসারে ঠেঙ্গা লাঠি লইয়া মারিতে আইস, তাহা আমি বহু অনুসন্ধানে পাইলাম না।
- বিজ্ঞ চতুষ্পদের কাছে শিক্ষালাভ ব্যতীত তোমাদের জ্ঞানোন্নতির উপায়ান্তর দেখি না।
- আমি তোমার ধর্ম সঞ্চয়ের মূলীভূত কারণ।
- আমি চোর বটে, কিন্তু আমি কি সাধ করিয়া চোর হইয়াছি?
- অধর্ম চোরের নহে- চোরে যে চুরি করে, সে অধর্ম কৃপণ ধনীর।
- চোর দোষী বটে, কিন্তু কৃপণ ধনী তদপেক্ষা শত গুণে দোষী।
- তেলা মাথায় তেল দেওয়া মনুষ্যজাতির রোগ দরিদ্রের ক্ষুধা কেহ বুঝে না।
সারমর্ম
একদিন কমলাকান্ত নেশায় বুঁদ হয়ে ওয়াটারলু যুদ্ধ নিয়ে ভাবছিলেন। এমন সময় একটা বিড়াল এসে কমলাকান্তের জন্য রাখা দুধটুকু খেয়ে ফেলে। ঘটনাটা বোঝার পর তিনি লাঠি দিয়ে বিড়ালটিকে মারতে উদ্যত হন। তখন কমলাকান্ত ও বিড়ালটির মধ্যে কাল্পনিক কথোপকথন চলতে থাকে। বিড়ালের “সোশিয়ালিস্টিক’, ‘সুবিচারিক’, ‘সুতার্কিক’ কথা শুনে বিষ্মিত ও যুক্তিতে পর্যুদস্ত কমলাকান্তের মনে পড়ে আত্মরক্ষামূলক শ্লেষাত্মক বাণী- “বিজ্ঞ লোকের মতে এই যে, যখন বিচারে পরাস্ত হইবেন, তখন গম্ভীরভাবে উপদেশ প্রদান করিবে”-এবং তিনি সে রকম কৌশলের আশ্রয় নেন। সাম্যবাদবিমুখ, ইংরেজশাসিত ভারতবর্ষে একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়েও, বঙ্কিমচন্দ্র একটা বিড়ালের মুখ দিয়ে শাসক-শোষিত, ধনী-দরিদ্র, সাধু চোরের অধিকার বিষয়ক সংগ্রামের কথা কী শ্লেষাত্মক, যুক্তিনিষ্ঠ ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন তা এ প্রবন্ধে পাঠ করে উপলদ্ধি করা যায়। বিড়ালের কণ্ঠে পৃথিবীর সকল বঞ্চিত, নিস্পেষিত, দলিতের ক্ষোভ-প্রতিবাদ-মর্মবেদনা যুক্তিগ্রাহ্য সাম্যতাত্তি¡ক সৌকর্যে উচ্চারিত হতে থাকে, “আমি চোর বটে, কিন্তু আমি কি সাধ করিয়া চোর হইয়াছি? খাইতে পারলে কে চোর হয়? দেখ, যাঁহারা বড় সাধু, চোরের নামে শিহরিয়া ওঠেন, তাঁহারা অনেকে চোর অপেক্ষাও অধার্মিক।’ মাছের কাটা, পাতের ভাত- যা দিয়ে ইচ্ছে করলেই বিড়ালের ক্ষিধে দূর করা যায়,লোকজন তা না করে সেই উচ্ছিষ্ট খাবার নর্দমায় ফেলে দেয়,—যে ক্ষুধার্ত নয়, তাকেই বেশি করে খাওয়াতে চায়, ক্ষুধাকাতর শ্রীহীনদের প্রতি ফিরেও তাকায় না, এমন ঘোরতর অভিযোগ আনে বিড়ালটি।
পাঠ বিশ্লেষণ
“ বিশেষ অপরিমিত লোভ ভালো নহে।”
কোন কিছু পাওয়ার আকাঙ্খা থাকা স্বাভাবিক, তবে অপরিচিত চাওয়া হলো লোভ যা মেনে নেওয়া যায় না। আফিংয়ে বুঁদ কমলাকান্ত যখন ওয়াটারলুর যুদ্ধে জেতার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাময় তখন হঠাৎ ‘মেও’ শব্দ হয়। প্রথমে তিনি ভাবেন ওয়েলিংটন হয়তো বিড়ালরূপে তার কাছে আফিং চাইতে এসেছে। তার মনে পড়ল ডিউককে যথোচিত পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, আর অতিরিক্ত দেওয়া যায় না। কারণ বিশেষ অপরিমিত লোভ ভালো নয়। কাজেই সবকিছুতেই পরিমিতি রক্ষা করা দরকার।
“আমি তখন ওয়াটার্লূর মাঠে ব্যুহ রচনায় ব্যস্ত।”
কমলাকান্ত নেপোলিয়ন হলে কীভাবে ওয়াটারলু যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারতেন আফিমের নেশায় বুঁদ হয় তারই ছক তৈরিতে তিনি ব্যস্ত। তিনি যখন যুদ্ধের মাঠে ব্যূহ রচনা করছেন, বিড়াল তখন তার জন্য রেখে যাওয়া দুধ পান করে নিঃশেষ করছে। অন্যদিকে মনোযোগ থাকায় কমলাকান্ত তা টের পাননি।
“কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায় কই।”
নিজের পরিশ্রমের ফসল অন্য কেউ বিনা পরিশ্রমে আত্মসাৎ করলে যে অবস্থা দাঁড়ায়, কমলাকান্তের জন্য রাখা দুধ বিড়াল এসে খেয়ে ফেলায় তারও তখন সেই অবস্থা। প্রসন্নকে দিয়ে অনেক কষ্টে তিনি দুধ আনিয়েছিলেন। অথচ বিড়াল তা নিঃশেষ করেছে। এখন বিড়াল তার দিকে তাকিয়ে মনে মনে হাসছে আর হয়তো ভাবছে, কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায় কই।
“সে দুগ্ধে আমারও যে অধিকার, বিড়ালেরও তাই।”
কমলাকান্তের মাথায় হঠাৎ সাম্যচিন্তা ঢুকেছে। তিনি হঠাৎ তার আর বিড়ালের সম অধিকার নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। কারণ দুধ কমলাকান্তের বাবার নয়। দুধ মঙ্গলা গাভীর, দোহন করেছে প্রসন্ন গোয়ালিনী। কাজেই সেই দুধে কমলাকান্তেরও যে অধিকার, বিড়ালেরও সেই অধিকার।
“অতএব পুরুষের ন্যায় আচরণ করাই বিধেয়।”
বাংলায় একটা প্রথা প্রচলিত আছে যে, বিড়াল দুধ খেয়ে গেল তাকে তাড়া করে মারতে হয়। সেই প্রথা না মানলে কমলাকান্ত মানুষের কাছে পরিচিত হবেন। কাজেই বিড়ালকে তাড়া করে মেরে পুরুষের মতো আচরণ করাকেই তিনি সঙ্গত মনে করলেন।
“অতএব তুমি সেই পরম ধর্মের ফলভাগী।”
মানুষের পরম ধর্ম হলো পরোপকার করা। কমলাকান্তের জন্য রাখা দুধটুকু খেয়ে বিড়ালের ক্ষুধা মিটেছে, সে উপকৃত হয়েছে। আর পরোপকার কাজটি করেছে কমলাকান্ত। এই যুক্তিতে কমলাকান্ত সেই পরম ধর্মের ফলভাগী।
“চোর দোষী বটে, কিন্তু কৃপণ ধনী তদপেক্ষা শত গুণে দোষী।”
চোর যেমন দোষী, কৃপণ ধনী তেমনই দোষী। কারণ দরিদ্র সাধ করে চুরি করে না। গরিব যখন খাদ্য বস্ত জোগাড় করতে পারে না, তখন সে চুরি করে। অথচ ধনীরা গরিব বা দুস্থদের কোন রকম সাহায্য করে না, বরং বিরক্তিতে মুখ ঘুরিয়ে থাকে। এদিক থেকে চুরির দায়ে চোর দোষী বটে, কিন্তু কৃপণ ধনী নানা কারণে তার চেয়ে শত গুণে দোষী।
“ যে খাইতে বলিলে বিরক্ত হয়, তাহার জন্য ভোজের আয়োজন কর- আর যে ক্ষুধার জ্বালায় বিনা আহŸানেই তোমার অন্ন খাইয়া ফেলে, চোর বলিয়া তাহার দন্ড কর – ছি! ছি!”
নিমন্ত্রণ করলে যে বিরক্ত হয় তার জন্য ভোজের আয়োজন করা হয় এবং তাকেই খাওয়ার জন্য বিশেষভাবে বলা হয়। অথচ যে ক্ষুধার্ত তাকে নিমন্ত্রণ করা হয় না। আবার সে যদি বিনা নিমন্ত্রণেই ক্ষুধার জ্বালায় খাদ্য খেয়ে ফেলে তাহলে তাকে চোর বলে শাস্তি দেওয়া হয়। এটা উচিত নয়।
“খাইতে দাও- নহিলে চুরি করিব।”
বেঁচে থাকার জন্য মানুষের প্রধান ও সর্বপ্রথম চাহিদা হলো খাদ্য। স্বাভাবিক উপায়ে খাদ্য জোগাড় করতে না পারলে মানুষকে অন্য কৌশল অবলম্বন করতে হয়। ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে বিড়াল যেমন কমলাকান্তের জন্য রেখে দেওয়া দুধ চুরি করে খায়, মানুষও তেমনি উপায়ন্তর না দেখে চুরি করে। তাছাড়া এ পৃথিবীর মাছ মাংসে সবারই অধিকার আছে। তার বত্যয় ঘটলে দাবি উঠতেই পারে. খাইতে দাও- নহিল চুরি করিব।
“যে বিচারক চোরকে সাজা দিবেন, তিনি আগে তিন দিবস উপবাস করিবেন।”
সৎ উপায়ে যখন কেউ অন্নসংস্থান করতে ব্যর্থ হয়, তখনই সে অসুদপায় অবলম্বন করে। যার জন্য তাকে অপরাধী ভাবা হয়। অথচ বিচারকরা তার কার্যকারণ অনুধাবন করেন না। কাজেই যে বিচারক চোরকে সাজা দেবেন, তিনি আগে তিন দিন না খেয়ে থেকে ক্ষুধার যন্ত্রণাটা উপলদ্ধি করবেন। তারপর চোরের বিচার করবেন।
“বিজ্ঞ লোকের মত এই যে, যখন বিচারে পরাস্ত হইবে, তখন গম্ভীরভাবে উপদেশ প্রদান করিবে।”
পরাজিত হয়েও পরাজয় না মানার বিকল্প অভিনয় করতে হবে, যাতে কেউ বুঝতে না পারে যে, সে পরাজিত হয়েছে-এ হলো বিজ্ঞ লোকের অভিমত। প্রসঙ্গত, কমলাকান্ত দরিদ্র বিড়ালের যুুক্তিতে পরাজিত হয়ে গম্ভীর ভাব ধারণ করে উপদেশ প্রদানে মনোযোগ দেন। বিড়ালের কথাগুলো নীতিবিরূদ্ধ, এতে পাপ হবে। আর তা থেকে মুক্তির জন্য ধর্মাচরণে মন নিতে হবে। বিড়াল এসব উপদেশ ক্ষুধানুসারে বিবেচনা করবে বলে জানিয়ে দেয়।
“একটা পতিত আত্মাকে অন্ধকার হইতে আলোকে আনিয়াছি, ভাবিয়া কমলাকান্তের বড় আনন্দ হইল।”
পতিত আত্মা আসলে পতিত নয়- সে সচেতন ও বিদ্রোহী। আর তা অন্ধকারেও অবস্থান করে না, সে আলোকিত। তবে তথাকথিত ধনীরা দরিদ্র দুস্থদের অবহেলা ও অবজ্ঞা করে পণ্ডিত হিসেবে বিবেচনা করে। পতিত আত্মা ক্ষুধার্ত থাকলে নীতিজ্ঞান আর ধর্মজ্ঞান মানে না। কিন্তু বিড়াল এটাকে ক্ষুধার্তের অধিকার বলে যুক্তি দেখাও। কমলাকান্তও নানা যুক্তি দিয়ে, উপদেশ দিয়ে এসব নীতিবিরুদ্ধ কাজ থেকে বিড়ালকে বিরত থাকার সম্মতি আদায় করতে পেরেছেন। তাই এটি পতিত আত্মাকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনতে পেরেছেন মনে করে কমলাকান্তের বড় আনন্দ হলো।
গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (জ্ঞানমূলক)
- ১. লেখক বসে ছিল -চার পায়ীর উপর।
- ২. লেখকের হাতে ছিল – হুকা।
- ৩. দেয়ালের উপর ছায়াগুলো – চঞ্চল ছায়া।
- ৪. লেখকের ঘরে আলো জ্বলিতেছে – মিট মিট করে ক্ষুদ্র আলো।
- ৫. দেয়ালের উপর চঞ্চল ছায়াগুলো নাচছে – প্রেতের মতো।
- ৬. লেখকের হাতে হুঁকো থাকার কারণ -আহার প্রস্তুত হয়নি বলে।
- ৭. লেখক হুঁকো হাতে নিজেকে ভাবছিল – নেপোলিয়ন।
- ৮. নেপোলিয়ন আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছিলেন -সমগ্র ইউরোপে
- ৯. নেপোলিয়ন পরাজিত হন – ১৮১৫ সালে সংঘটিত ওয়াটার লুর যুদ্ধে ওয়েলিংটনের ডিউকের হাতে তিনি পরাজিত হন।
- ১০. পরাজিত নেপোলিয়নকে নির্বাসিত করা হয় – সেন্ট হেলেনা দ্বীপে।
- ১১. নেপোলিয়ন মৃত্যু বরণ করেন-১৮২১ সালে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে।
- ১২.‘বিশেষ অপরিমিত লোভ ভালো নহে’- উক্তিটি – কাল্পনিক ডিউকের (বিড়াল) প্রতি লেখকের।
- ১৩. প্রসন্ন লেখকের জন্য রেখে গিয়েছিল – দুধ।
- ১৪. প্রসন্ন লেখকের জন্য দুধ রেখে গিয়েছিল – মঙ্গলার (গরুর নাম)
- ১৫.লেখকের জন্য রেখে যাওয়া দুধ খেয়ে উদরসাৎ করেছিল – মার্জার
- ১৬.মার্জারের ‘মেও’ বলার মধ্যে ছিল -ব্যঙ্গ।
- ১৭. “কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায়—–শূন্যস্থানে হবে -কই।
- ১৮. মার্জারী স্বজাতিমল্ডলে কাপুরুষ বলে উপহাস করে – কমলাকান্তকে
- ১৯. লেখক স্বজাতিমণ্ডলে কাপুরুষ বলে উপহাস করে- কমলাকান্তকে
- ২০.মার্জারী লেখককে খাওয়ার কথা বলেছিলেন – ৬টি জিনিস(ক্ষীর, সর, দুগ্ধ, দধি, মৎস্য, মাংস)।
- ২১. মার্জারীর মতে চোর অপেক্ষা অধার্মিক – বড় বড় সাধু।
- ২২. চোর যে চুরি করে, সে অধর্ম – কৃপণ ধনীর।
- ২৩. মার্জারির মতে জ্ঞানোন্নতির জন্য মানবজাতিকে শিক্ষা নিতে হবে – বিজ্ঞ চতুষ্পদের নিকট থেকে।
- ২৪. মার্জারির মতে ধর্ম হচ্ছে -পরোপকার।
- ২৫. মার্জারির মতে কমলাকান্তের ধর্মের সহায় – স্বয়ং মার্জারী।
- ২৬. মার্জারীর মতে লজ্জার কথা হচ্ছে – দরিদ্র্যের ব্যথায় ব্যথিত হওয়া
- ২৭. অনেক মার্জার কবি হয়ে যায় – গৃহপালিত মার্জারকে দেখে যার গায়ে লোম হয় এবং লেজ ফুলে যায়।
- ২৮. মার্জারের মতে মার্জাররা পুষ্টি পায় – গৃহমার্জার (পালিত) হলে।
- ২৯. মার্জারের লেজ ফুলে যায় এবং গায়ে লোম হয় – গৃহমার্জার হলে।
- ৩০. অনাহারী মার্জারীর দাঁত – বাহির হইয়া আছে।
- ৩১. অনাহারী মার্জারীর জিহ্বা – ঝুলিয়া পড়িয়াছে।
- ৩২. মার্জারীর মতে কমলাকান্ত দূরদর্শী কারণ সে – আফিংখোর।
- ৩৩. মার্জারীর মতে দরিদ্র চোর হয় – ধনীর দোষে।
- ৩৬. মার্জারীর মতে একজন লোক আহার্য সংগ্রহ করে – ৫০০ জন দরিদ্রের।
- ৩৭. “তোমার কথাগুলি ভারি সোশিয়ালিস্টিক” – উক্তিটি – মার্জারের প্রতি কমলাকান্তের।
- ৩৮. মার্জারের মতে সমাজের ধন বৃদ্ধির অর্থ – ধনীর ধন বৃদ্ধি।
- ৩৯. ‘কস্মিনকালেও কেহ তাহাকে কিছু বুঝাইতে পারে না’ – কার? – যে বিচারক বা নৈয়ায়িক।
- ৪০. যে বিচারক চোরকে সাজা দিবে মার্জার তাকে উপবাসে থাকতে বলেছে – ৩ দিন।
- ৪১. লেখককে আগামিকাল প্রসন্ন ছানা দিলে লেখক তা খাবে – বিড়ালের সাথে ভাগাভাগি করে।
- ৪২. মার্জার ক্ষুধায় নিত্যান্ত অধীর হলে লেখক তাকে বলেছিল -এক
- ৪৩.মার্জার বিদায় হলে লেখক ভাবতে লাগল – একটি পতিত আত্মাকে অন্ধকার হতে লেখক আলোতে এনেছে।
- ৪৪. সমাজে উন্নতি নাই – সামাজিক ধনবৃদ্ধি ব্যতীত(কমলাকান্তের উক্তি)
- ৪৫. ‘বিড়াল’ গল্পে পতিত আত্মা বলতে বোঝানো হয়েছে – বিড়ালকে
- ৪৬. ‘বিড়াল’ গল্পের প্রথম অংশটি – নিখাদ হাস্যরসাত্মক।
- ৪৭. ‘বিড়াল’ গল্পের শেষ অংশটি – নিগূঢ় অর্থে সন্নিহিত।
চরিত্র:
নেপেলিয়ন, ওয়েলিংটন, মঙ্গলা, প্রসন্ন, মার্জার, নসিরামবাবু, হাকিম ও কমলকান্ত, নিউমান ও পার্কর।